একজন মেয়ের যখন বিয়ে হয়, সে তখন তার মা,
বাবা, ভাই, বোন সবাইকে ছেড়ে চিরতরের জন্য
এমন আরেকটি পরিবারে যায়, যে পরিবারের সাথে
তার কোন রক্তের সম্পর্কই নেই।
রক্তের বন্ধন ছেড়ে চলে যাওয়া সহজ কথা না…
যে যায় ও যারা বিদায় দেয়- তারাই শুধু এটার
কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে…
মেয়ের বিদায়ের সময় মার উচ্চস্বরে কান্না
যেকোনো মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকেও হার মানায়…
অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকা বাবা হয়তো মুখে
হাসি ধরে রাখেন সারাদিন , কিন্তু দিনশেষে
তিনি যখন একটু একা হয়ে যান, তার চোখ দিয়ে
জল এমনি গড়িয়ে পড়ে…
“আপু, তাড়াতাড়ি বিয়ে কর। তোর বিয়েতে
অনেক সাজবো” বলে যে ছোট বোনটি এতদিন
ঘ্যান ঘ্যান করতো, সেও তখন মনে মনে বলে
“আপু, কেন তুই আর কিছুদিন আমাদের মধ্যে থাকলি না”।
যে ভাইটি সারাদিন মারামারি করতো,
বিভিন্নভাবে দুষ্টামি করতো, সেও রাতে বোনের
ঘরের শুন্য বিছানার দিকে তাকিয়ে চোখ মুছতে
মুছতে বলে, “আপু, আমি আর কখনো তোকে
মারব না। তবুও তুই আমার কাছে থাক।”
একজন মেয়ে যখন তার শ্বশুর বাড়িতে আসে, সে
একা আসে না… সাথে থাকে তার পরিবারের
সকলের কান্না ও ভালোবাসা…
যে মেয়ে তার আপনজনকে ছেড়ে আসার মত এত
বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, নিজে রাজা না
হলেও সেই মেয়েকে রাণীর মত করে সারাজীবন
একজন পুরুষের রাখা উচিত..
প্রেমিকার বা প্রেমিক এর ভালোবাসা পাওয়া কঠিন হলেও
স্ত্রীর ভালোবাসা পাওয়া নাকি অনেক সহজ…
আসলেই কোনটাই সহজ না। প্রেমিক / প্রেমিকার মাঝে কোন দায়বদ্ধতা নাই। কোন দায়িত্ববোধ এর সামন্যতম বালাই নাই।
শুধু আছে উড়ো উড়ো কিছু মিষ্টি বাতাস। আর স্বামী/স্ত্রী মাঝে মিষ্টি বাতাসের সাথে কিছু ঝোড়ো বাতাস।।।।।।
দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি সে, যে তার
স্ত্রীর সত্যিকার ভালোবাসা পায়…
আবার সেই সবচেয়ে হতভাগা, যে সেই
ভালোবাসার মুল্য দেয় না।
নিচের বাস্তবতা লিখতে লিখতে চলে এলো। আর উপরের বাস্তবতা আজ ইতিহাস।
সব ভাইরাই বোনদেরকে খুব ভালোবাসে আর সব বোনরাই নিজের থেকে ভাইকে খুব ভালোবাসে।
কিন্তু যে বোন নিজের হাতে তার ছোটবোনকে একটু একটু করে মানুষ করে নিজে হাতে সে তো বোনের থেকেও বিশাল কোন জায়গা ঘিরে থাকে।
।
সময় :- রাত :- ৯:৩০ মিনিট
নীলিকা নীলাচল