আমি জ্ঞানে বিদ্যায় গরীব, সনদে আরো গরীব। যা একটু হামাগুড়ি দেই, তা ঐ “আউট বই” পড়ার চরম বদঅভ্যাস এর বদৌলতে। সংসার আমাকে ছুটি দেয়ার পর বিগত চার বছরে সে বদঅভ্যাস পুরোপুরি স্থায়ী রূপ নিয়েছে। ( আমাদের সময়ে সাহিত্য কবিতা গল্প উপন্যাস এর বইকে” আউট বই” বলা হতো, সেগুলো পড়ার আবার নির্ধারিত বয়স সীমা ছিলো। লঙ্ঘন করলে কানে বিরোআশি ওজনের থাপ্পড় দিয়ে কেড়ে নেয়া হতো)
ফেবু-তে মাঝে মাঝে অপাঠ্য কিছু লিখি বটে, তার চেয়ে বন্ধুদের অসাধারণ সব লেখা পড়ি বেশি , এবং শেখার জন্যই মন দিয়ে পড়ি। পড়ে মুগ্ধ হই, হাসি, কখনো চোখ ভিজে ওঠে। আবার কখনো কষ্ট পাই।
কষ্ট পাই তখন, যখন দেখি কোন বিজ্ঞ লেখক লেখিকা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুল ইসলাম সহ প্রাতঃস্মরণীয় সব লেখকদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে পাঠককে প্রশ্ন করেন কে বড় লেখক কবি উপন্যাসিক??!!!! দশ বারোটা কবিতার নাম আর স্বনাম ধন্য কবিদের নাম দিয়ে পাঠককে প্রশ্ন করেন, এর মধ্যে কোন কবিতাটা শ্রেষ্ঠ??!!!!
আমি অবাক হই এই ভেবে যে, এ যেন রাজনীতির সেই পাঠক আর ঘোষক এর খেলা খুব সন্তর্পণে সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়েছে।
একজন লেখক বর্তমান উপন্যাসিকদের একহাত নিচ্ছিলেন। আমি মন্তব্য কলামে প্রশ্ন করলাম অখন্ড ভারতবর্ষের কথাশিল্পী ও উপন্যাসিক প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?
– এতো পেছনে যাওয়ার দরকার কি? প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কে?
* পুতুল নাচের ইতিকথা’র লেখক।
– ওটা তো মনে হয়(!!) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা। লেখকের নাম জানেন না আবার মন্তব্য করতে আসছেন!!!!
,,,,,,, আমি বললাম দুঃখিত ক্ষমা করবেন।
সম্মানীত বন্ধুগণ, জলে ভাসা কচুরিপানা ফুলও সুন্দর, জলে ভাসা সাহিত্য সমালোচক কি সুন্দর????