ডে লাইট সেভিং বা সূর্যের আলো সংরক্ষণ করতে গিয়ে কানাডায় বছরে ২বার সময়ের পরিবর্তন করতে হয়। প্রথমটি হলো, বছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় রোববার ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগিয়ে রাত ২ টা থেকে ৩ টা করা হয়।
মূলত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দিনের আলোকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কানাডায় বহুল আলোচিত এই ডে লাইট সেভিং পদ্ধতি চালু আছে। এদেশে শীতকালে ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা পেছনের দিকে ফেরানো হয়। পুনরায় গ্রীস্মের শুরুতে এক ঘন্টা এগিয়ে দেয়া হয়।
শুধু কানাডা নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশেই সূর্যের আলোর সুবিধাকে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন নামে এই পদ্ধতি কার্যকর আছে।
কানাডায় দ্বিতীয়বার সময় পরিবর্তন করা হয় শীতের প্রাক্কালে। নভেম্বরের প্রথম রোববার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। একে বলে ফল ব্যাক (শরতে পেছানো)। এই সময় ঘড়িতে রাত ২টাকে কমিয়ে ১টা বাজিয়ে দেওয়া হয়।
এভাবেই কানাডায় শেষ হয় ডে লাইট সেভিং প্রক্রিয়া। ফিরে যায় সময় গণনার স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতিতে। চলতে থাকে কানাডার সময়।
কানাডায় শীতকালে গড়ে ৮ ঘণ্টা দিন, দীর্ঘরাত। গড়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা রাত। আর গ্রীষ্মকালে দীর্ঘ দিন। গড়ে প্রায় ১৭ ঘণ্টা দিন। রাত ছোট, গড়ে ৭ ঘণ্টা রাত।
সাত-আট বছর আগে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের একই ধারণার ওপর ডে লাইট সেভিং চালু হয়েছিল। কানাডা বা উত্তর আমেরিকার মতো একইভাবে এক ঘণ্টা সময় আগানো-পেছানোর ব্যাপার ছিল।
বাংলাদেশে একেক জন একেকভাবে বিষয়টিকে বুঝতে শুরু করল। এ নিয়ে গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় বইয়ে গেলো। কেউ কেউ বলতে লাগল, মানুষ কীভাবে সময় বদলাবে? বুঝানো গেলনা যে, আমরা শুধু ঘড়ির কাঁটা সমন্বয় করে নেব।
অবশ্য একথা সত্যি, কানাডায় গ্রীষ্মকালে দিন রাতের বড় ব্যবধানের মতো বাংলাদেশে দিন রাতের ব্যবধান ততটা বেশি না হওয়ায় এবং প্রবল সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ডে লাইট সেভিংয়ের ধারণাটা আর টেকেনি। ঘড়ির কাটা আগ-পাছ করার বিষয়টি বাংলাদেশে বাদই হয়ে যায়।