কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। কেষ্ট কে? কেষ্ট হলো কৃষ্ণ। যদি ওটাই ঠিক হয়, তবে কাদের উদ্দেশ্যে বলা? প্রশ্ন কিন্তু অন্দরমহলে ছুটলো!!! কি করবো বলুন, বাস্তব জীবনে দেখলাম কথাটা ভুল। আসল কথা হলো, কষ্ট করলে রাধা মেলে।
নাচ ময়ুরী নাচ রে, ঝুম ঝুমা ঝুম নাচ রে। চিড়িয়াখানায় গিয়ে লাগলো প্যাঁচ, আরে একি!! ময়ুরী তো নাচে না!! ময়ুর নাচে।
সে বেশ কয়েক বছর আগের কথা। বিকালে গিন্নি ছেলেকে কোলো নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, আমি বাসায় ফিরছি, কাছাকাছি আসতেই গিন্নি ছেলেকে বললো, এই তো আব্বু এসে গেছে!! দেখুন তো কি অনাসৃষ্টি কথা!!
মানুষ হিসাবে আমি কঠিন মনের। মুষড়ে পড়া আমার অভিধানে নেই। ওয়াশিংটন যাচ্ছিলাম। পাশের সিটে একজন সাদা মহিলা। এয়ার পকেটে পড়ে প্লেন চিন্তিত হওয়ার মতো বারবার বাম্পিং করছে। যাত্রীদের চোখেমুখে ভয়ার্ত ভাব। আমি অবলীলায় ভিডিও তে অক্ষয় কুমারের ” টয়লেট” মুভি দেখছি। যুক্তি হলো, ছত্রিশ হাজার ফুট উপর থেকে পড়ে গেলে আমার কিছুই করার থাকবেনা। অতএব সিনেমাটা মিস করি কেন? হঠাৎ খুব জোরে একটা বাম্পিং হলো, সাদা মহিলা ও মাই গড বলে চিৎকার করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। চোখ বন্ধ করে এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছে, প্লিজ সেভ মি, প্লিজ সেভ মি।
কারিগর ইচ্ছেমত গড়েন, ইচ্ছেমত ভাঙেন। নানান বাহানায় ভাঙেন। আমি নিতান্তই মানুষ মাত্র। আমাকে সেভ করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
আমার খুব প্রিয় একজন লেখিকার কবিতার একটি লাইন মনে পড়ে গেলো,,,,
“” তুমি নিতান্তই মানুষ- ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী নও”।
এটাই সত্য।
দেখুন তো, হাসি ঠাট্টা করতে করতে পরিবেশটা গম্ভীর হয়ে গেলো। এমনই হয়, জীবনটাই এমন।
প্রতিটি মানুষই তার জীবনে কখনো কখনো সুখী।