# এই তোর হাতে কি?
* খাঁচা।
# খাঁচার ভিতর কি?
* ময়না পাখি।
# তো, খাঁচাটা গামছা দিয়ে ডেকে রেখেছিস কেন?
* ময়নার মন খারাপ।
# মানে কি? আজিব কথা!!!
* ময়নাটা আমাকে বলেছে, সে সাধন চাঁড়ালের মুখ দেখতে যায় না। যদি রাস্তায় দেখা হয়ে যায়, তাই এই ব্যবস্থা।
# সাধন চাঁড়াল আবার কে?
* তাকে তুমি চিনবে না। ও শালার চিতা জ্বালানোর জন্য চন্দন কাঠ আর ঘি কেনার টাকার দরকার, অ,,নে,,ক টাকা। হাজী সাহেবরা সেই টাকার ভার নিয়েছে। মোটামুটি জোগাড় হয়ে গেছে, বাকি যেটুকু আছে, নুনের ছিটা দিয়ে হয়ে যাবে।
# তুই শালা আস্তো পাগল। কি সব বকবক করছিস্?
* পাগল হইনি, তবে হতে চাই।
# তো হ, ধুতুরার ফল খা।
* খেয়েছি, যে যা বলেছে তাই খেয়েছি, কাজ হয়নি।
# বলিস কি?
* হ ভাই ফরমালিন খেয়ে খেয়ে মগজ প্লাস্টিক হয়ে গেছে। নো একশান।
পথ ছাড়েন, আমি যাই।
,,,,,,
গামছায় ঢাকা ময়নার খাঁচা নিয়ে অজ্ঞাত এক মানুষ কোথায় চলেছে আমরা জানি না। শুধু একটুকু বলা যায়। সাধন, রতন, রহমত, কাদের, ফকরুল,আল্লামা, হাজী, ঠাকুরদের হাত থেকে সে তার ময়না পাখিটারে বাঁচাতে চায়।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন