নরওয়ে থেকে:-
খেঁয়া ঘাটের শেষ নৌকা চলে গেছে বলে নদীর পারে বসে কাঁদার কোনো মানে হয়না,, প্রয়োজনে নিজের নৌকা নিজে তৈরী করে নেবেন তারপরও ঘাঁটে বসে কাঁদবেন না ,, এ পৃথিবিতে পিছনে পড়ে থাকা কিংবা হেরে যাওয়াদের কেউ পছন্দ করেনা,,কেনোনা হেরে যাওয়াদের গল্পে কোনো প্রাপ্তি নেই।
পৃথিবিতে যত গল্প লিখা আছে তা শুধু বিজয়ীদের নিয়েই লেখা গল্প,,
হেরে যাওয়াদের গল্প কেউই শুনতে চায়না, হেরে যাওয়াদের গল্প শুনে কেউই নিজের মূল্যবান সময় সময় নষ্ট করতে আগ্রহী নয় । তবে যারা জয়ী হতে চায়,, যাদের মনের ভিতর বিজয়ের সামান্যতম আকাঙ্খা থাকে ,,তাদেরকে কেউই হারাতে পারেনা। মনে রাখবেন পৃথিবিতে জেতার অনেক উপাদান আছে,, শুধুমাত্র জেতার আখাঙ্খা থাকলে তবেই জেতা যায়,অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় । তাই অযথা হতাশ হয়ে ঘরে বসে থাকবেন না,, কিছু একটা করুন,, সামান্য কিছু দিয়ে শুরু করে হয়তোবা এমন কিছু হয়ে যাবেন যা আপনি নিজেও কল্পনা করেননি কোনোদিন ।
দশ বৎসর আগেও পদ্মা নদীর উপর একটা সেতু হবে, সে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে, রেল লাইন হবে সে কথাটা অনেকেই বিশ্বাস করেনি, আগামীতে যে ৩টা পদ্মা সেতুও হতে পারে তা এখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস যোগ্য। বিশ্বাসের উপরই মানুষ বাঁচে,, বিশ্বাস দিয়েই সুন্দর আগামীর সৃষ্টি হয়।
১৯৭১ সালে এতো নির্যাতন, এতো দারিদ্রতার মাঝেও বাংলার ছেলে-মেয়েরা হারেনি,, বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা জিততে চেয়েছিলেন বলেই সেদিন কেউই , কোনো বাধাই তাদের হারাতে পারেনি। তবে ২০২০ সালে এসে এতো অনুকূল পরিবেশের মধ্যে থেকেও আপনিই বা কেন হেরে যাবেন ??
আপনি হারেন নি,, আর আগামীতেও আপনি কখনো হারবেন না এ বিশ্বাসটা মনের ভেতর ধরে রাখুন। দেখবেন এমনিতেই আপনি জিতে গেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।