নরওয়ে থেকে:-
আপনার সুখ ও আপনার স্বপ্নকে কেউ কোনোদিন কেড়ে নিতে পারবেনা যতদিন ধরে আপনি তা বুকের ভেতর ধরে রাখবেন, কোনো কিছুতে হেরে যাওয়া মানেই জীবনের শেষ নয়। যতদিন আপনি স্বপ্ন ধারণ করেন, স্বপ্নকে সফল করবার জন্য লড়াই করেন ততদিন আপনি বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন , যেদিনই হাল ছেড়ে দিবেন সেদিনই সব শেষ।
আমি যখন লন্ডনে লেখা পড়া করি( ২০০৮-২০১o ) তখন বর্তমানের ব্রিটিশ জনপ্রিয় গায়ক এড শ্যারন বাস্তুহীনভাবে লন্ডনের রাস্তায় স্লিপিং ব্যাগে ঘুমাতো সারাদিন সামান্য কিছু খেয়ে দিন পার করতো, কিন্তু তার বিশ্বাস ছিল যে তার নিজের মধ্যে প্রতিভা আছে এবং একদিন সবাই তা বুঝতে পারবে, সে হাল ছেড়ে দেয়নি, স্বপ্নকে ধারণ করে চেষ্টা করে গেছে , কষ্ট করে করে সামনে এগিয়ে গেছে , আজ সে বিশ্ব বিখ্যাত গায়ক, কোটি কোটি পাউন্ডের মালিক।
ইস্ট লন্ডনের গ্রীন রোড এশিয়ান কমিউনিটির মানুষে ভরপুর , ২০০৯ সালে সেখানে এক বন্ধুদের আড্ডায় লিকলিকে এক ইন্ডিয়ান ছেলের সাথে দেখা হয়েছিল , সে ইকোনমিকসে গ্রাডুয়েশন করতে ইংল্যান্ডে এসেছে তবে গান গাইতে ও গান লিখতে তার খুবই পছন্দ। আজ সে ছেলে ইন্ডিয়ান পপুলার সিঙ্গার ও সঙ রাইটার। তার মিউজিক ভিডিও হাজার লক্ষবার দেখা হয়। জানেন কে সে ?? সে হচ্ছে গুরু রাদওয়ান ,, পড়ালেখার পাশাপাশি সে তার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে গেছে ,, আজ সে জনপ্রিয় এবং সফল একজন মানুষ। ওই রাতে গুরু রাধার সাথে বেশি কথা হয়নি, অনেক ছেলেমেয়ে ছিল পার্টিতে এবং সবাই নাচে গানে ব্যস্ত ছিল, মনে আছে আমি ঐদিন লাল একটা টাই পরে ছিলাম যা ওর খুবই পছন্দ হয়েছিল। ওই রাতের পর গুরুর সাথে আর দেখা বা যুগাযুগ হয়নি তবে বর্তমানে ওর সাফল্য দেখে অনেক ভালো লাগে।
যাই করেন না কেন, জীবনে কক্ষনো থামবেন না। হেরে যান, ভেঙে পড়েন, কাঁদেন, তবে আবার উঠে দাঁড়ান এবং আবার চেষ্টা করে যান। যারা চেষ্টা করে, যারা সঠিক পথে হাঁটে তারা সফল হয়। পৃথিবিতে কেউ কারো পথ সৃষ্টি করে দিতে পারেনা যদিনা সে মানুষটা তার নিজের পথ সৃষ্টি করবার জন্য নিজে মনপ্রাণ উজাড় করে দেয়।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। শুভ কামনা রইলো আমার ভাই জাওয়াদের জন্যও।