লন্ডনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কেউ কাউকে ১০ পাউন্ড ধার দিতে রাজি হয়না ,, কেন হয়না তা সঠিকভাবে আমার বোধগম্য নয়। অনেকে হয়তোবা অনেকের কাছ থেকে নানান ভাবে প্রতারিত হয়েছেন সে কারণেই কেউ কাউকে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দেখলেও সাহায্য করতে কার্পণ্য করেন।
যেহেতো ব্যবসা করি, অনেক সময় অনেক অযাচিত বিপদ এসে দরজায় ভিড়ে, যা ইচ্ছা থাকলেও ফেলে দেয়া যায়না, অনেক সময় অনেক বড়ো বড়ো এমাউন্ট দেয়া নেয়া করতে হয়, এবং মাঝে মাঝেই অনাখাঙ্কিতভাবে বিপদে আপদে পড়তে হয় , কিন্তু সব সময় ব্যাংকের ধারস্ত হতে ইচ্ছা জাগেনা।
তাই গত তিন বৎসরে অনেক কঠিন সময়ে যখন প্রিয় মনির ভাই, প্রিয় হাবিব ভাই, প্রিয় সনি , প্রিয় সানি, প্রিয় মুজিবুরের দারস্ত হতে হয়েছিল। হাজার হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডের সমপরিমান নরওয়েজিয়ান ক্রোনার ধার আনতে হয়েছে, ওনারা একবারও জিজ্ঞেস করেননি টাকাটা কবে ফেরত পাবো ? কিংবা টাকাটা দিতেও উনাদের কেউই এক মুহূর্ত দেরি করেন নি, অনেক বড়ো এমাউন্ট হলেও বলার সাথে সাথেই টাকাটা একাউন্টে পেয়ে গেছি,,
বিপদ কাটিয়ে উঠেছি, নিজের পরিশ্রমে গড়ে তোলা দোকানটাকে
অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছি। এসকল বড়ো ভাই, বন্ধু ও ছুটো ভাইদের ঋণ হাজার বৎসরেও পরিশোধ করা সম্ভবনা। ভালোবাসার ঋণ কক্ষনো পরিশোধ হয়না।