ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড, নরওয়ে থেকে:-
এই সময় বড় কঠিন সময়, এ সময়টা সামান্য কিছু খেয়ে পরে একে অন্যকে সাহায্য করবার মাধ্যমে টিকে থাকবার সময়। এই সময় নিজেদের অস্তিত্বকে এবং সারা বিশ্বের মানব সমাজকে বাঁচিয়ে রাখবার সংগ্রামের সময়। অহেতুক সন্দেহ এবং ঝগড়া করে একে অন্যদের প্রতি আঙ্গুলি প্রদর্শন করে সময় নষ্ট করবার সময় আমাদের কারো হাতেই এখন আর নেই। বিগত দুই মাসে সারা বিশ্বের অর্থনীতির যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসতেই অনেক সময় লাগবে এবং বর্তমানের বিদ্যস্ত অবস্থা যদি চলমান থাকে তবে অসুস্থতার সাথে সাথে খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থানের অভাবে সারা পৃথিবি জুড়ে আরো হাজার লক্ষ্ মানুষ প্রাণ হারাবেন। যুগ যুগ ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নানা রকম প্রতিবেদক আবিষ্কারের মাধ্যমে নানান রুগ ব্যাধি জরাতে আমাদের সূস্থ সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছেন, মানব সভ্যতার কল্যাণে নিজের ব্যক্তি জীবনের বিশেষ একটা অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন ল্যাবরোটরিতে।
সারাটা জীবন আমি খুবই আশাবাদী এবং বিশ্বাসী একজন মানুষ। জ্ঞানী মানুষদের আমি প্রচন্ড সম্মান করি। জ্ঞানী-গুণীদের নিরন্তন প্রচেষ্টার উপরে ভর করেই পৃথিবিটা টিকে আছে,, তাই বর্তমানের এই দুঃসময়ে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ইংল্যান্ড রাশিয়া, কিংবা চায়নার কোনো বিজ্ঞানীরা খুব শিগ্রই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবেন এবং সমস্ত মানব জাতির এ দুঃসময়ে বন্ধু হিসেবে সারা বিশ্বের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন।
বিদেশে অবস্থানরত অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, অনেকেই শিগ্রই কাজ হারাবেন ,, তাই বর্তমানের এ দুঃসময়ে সবাই সবার পাশে থাকুন,, পাড়া প্রতিবেশী, এবং স্বদেশী ভাই বোনদের পাশে দাঁড়ান, খুঁজে খবর নিন। অনেকেই কাজ হারিয়ে বৌ-বাচ্চাদের নিয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন ,, আমরাই পারি আমাদের স্বদেশী ভাইবোনদের ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়াতে। সাথে করে পৃথিবীজুড়ে নানা দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী হাই কমিশন/এম্বাসি গুলোকে নিজ নিজ অবস্তান থেকে প্রবাসে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পরিবারগুলোর খুঁজ খবর নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। । আর বিশ্বাস রাখুন, শিগ্রই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো, আবার আমরা একত্রিত হবোই, আমরা আবার কাজ করবো, রাস্তাঘাটগুলো আবার জনগনে ভরে উঠবে, কফি হাউসগুলো আবার পরিপূর্ণ হবে বিশ্বাস, ভালোবাসা আর আবেগী হাসির পরিপূর্ণতায়।