বাঁশ বহুবিধ ব্যবহারিক একটি কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ। বাঁশ নিয়ে সমাজে নানান মুখরোচক উপহাস প্রচলিত আছে। ইদানীং বাঁশ দিয়ে রাস্তা, ব্রিজ এবং ছাদ ঢালাই এর প্রযুক্তি বের করেছেন বদ্বীপের বঙ্গ স্বর্ণ সন্তানেরা।
…….কিন্তু বাঁশের আরও একটি পরিচয় আছে, আর তা হলো বাঁশের কচি চারা উপাদেয় এবং সুস্বাদু তরকারি বটে। বাঙলা ভাষায় যাকে বাঁশকোড়ল বলা হয়।
পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর কাছে বাঁশ কোড়ল অতি জনপ্রিয় খাদ্য।
…….বাঁশ কোড়ল শুধু পাহাড়িদের প্রিয় খাবার না। এর অন্যরকম স্বাদের জন্য এটি বাঙালিদের কাছেও জনপ্রিয়। বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেটবাসীদের প্রিয় সবজি। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে এটি খুব জনপ্রিয় একটি মজাদার খাবার। চীন, ভারত, জাপান, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশে খাবারটির প্রচলন থাকায় আন্তর্জাতিকভাবে বেশ চাহিদা রয়েছে। জাপানে ‘তেকেনাকো’, চীন ও থাইল্যান্ডে ‘ব্যাম্বো স্যুট’, মায়ানমারে ‘মায়াহেট’, নেপালে ‘থামা’, আসামে ‘বাঁহ গাজ/খবিচা’, এবং ইন্দোনেশিয়ায় ‘রিবাং’ নামে অভিহিত করা হয়। আমেরিকার বাঙালি গ্রোসারিতে থাইল্যান্ড থেকে আসা কৌটাজাত বাঁশ কোড়ল ( ব্যামো স্যুট) পাওয়া যায়।
…….শনি রবি দুদিন ছুটি। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। বর্ষা দেখে মস্তিষ্কে হাঁসের মাংস ঘুরপাক খাচ্ছিলো। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চললাম গ্রোসারিতে, কিনলাম বাঁশ আর হাঁস। বাসায় ফিরে কেটেকুটে বসিয়ে দিলাম চুলায়।
….. শেফ হিসেবে আমি মন্দ না, মোটামুটি সুনাম আছে। আমার রান্না শেখার গুরু ছিলেন আমার সহধর্মিণী।
…বাঁশ আর হাঁস রান্না শেষ, আপনাদের সমীপে উপস্থাপন।