সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সহজ নয়। কেউ কেউ হয়ত পারে, আমি পারিনা। দ্বিধাদ্বন্দ্বের ঘোরপ্যাঁচে আটকে যাই। মাঝে মাঝে বিষন্ন কোন বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় জীবনের খাতা খুলে বসি।
পঞ্চাশোর্ধ জীবনে এখনো তেমন কোন রোগ বাসা বাঁধেনি যা আমাকে জোর করে বার্ধক্যে টেনে নিতে পারে। তবুও মনে হয় বিয়োগ অংকের খাতাটা নিজের অজান্তেই খুলে ফেলেছি। আসলে, পঞ্চাশ পর্যন্ত মানুষের জীবনে যোগের সমারোহ। তারপর শুরু হয় বিয়োগের পালা। একে একে খালি হতে থাকে নিজ হাতে গড়া চাদের হাট। ব্যাস্ত সব মানুষের ভিড়ে পুরোনো এই আমি বড় বেশি ম্রিয়মান আর বেমানান হয়ে পড়ি।।
মানুষ,
মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটা বড়ই আপেক্ষিক বিষয়। মূলত তাকে কোন ক্ষমতাই দেয়া হয়নি। অদৃশ্য এক চালকের পূর্ব নির্ধারিত ছকে তাকে চলতে হয়।
রহস্যময় বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মাঝে ব্রহ্ম আর ব্রহ্মার এ এক আশ্চর্য খেলা!!!
সেই খেলার পুতুল এই আমি নির্জনে খুঁজি তারে, আকাশ আর মর্ত্যের শূন্যের মাঝারে ।
কে তিনি? কেমন তিনি? যিনি আমাকে মায়ার বাঁধনে বেঁধে দিয়ে কঠিন এক পরীক্ষার মাঝে নিক্ষিপ্ত করেছেন। বড় কঠিন এ মায়ার বাঁধন, না যায় ছাড়া, না যায় ধরে রাখা। একে একে ছিন্ন হয়, আমি অসহায় চোখে শূন্যের মাঝে উত্তর খুঁজতে থাকি,,,, কেন?
কোন এক গভীর রাতে ধানমন্ডির নিস্তব্ধ রাস্তাকে সচকিত করে একটি এ্যাম্বুলেন্স ছুটে গিয়েছিল নিকটস্থ হাসপাতালের দিকে। সোনার কাঁকন পরা একটা হাত শেষ শক্তি দিয়ে আমার হাতকে আঁকড়ে ধরে বলেছিলো, আমাকে যেতে দিওনা শক্ত করে ধরে রাখো। আমি সে হাত ধরে রাখতে পারিনি। সে ক্ষমতা আমাকে দেয়া হয়নি।
যদি ধরে রাখতে নাই পারি, তবে কেন এই মায়ার বাঁধন? কেন এই খেলা? জীবনের সারাবেলা।।।।
(ছবি:-সৌজন্যে KissPNG)