সিঁধেল চুরি আর পুকুর চুরি! যে চুরিই হোক! নিরাপদে সারতে পারাটাও পাণ্ডিত্য! হোক না চুরিতে!
পুকুর চুরি অর্থাৎ বড় ধরনের চুরি, এই যেমন রাষ্ট্রিয় কোটি টাকা পাচার কিংবা লাখ টাকা ঘুষ বাবদ গ্রহণ করলে তিনি মিডিয়ার হিরো (খলনায়কও বটে) হয়ে যান।
সিঁধেল চোর অর্থাৎ ছোট চোরদেরই যতো দুঃখ! এদের খোঁজ নেয় না কেউ। সাধারণ জনগণ দু’য়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে বিদায় করে দেয়। ভাগ্য খারাপ হলে হয়তো কিছুটা বেশি শাস্তি পেতে হয়!
তবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের চুরির ঘটনার পর হয়তো সিঁধেল চোরদের সেই দুঃখ আর থাকবে না!
গণমাধ্যমের কল্যাণে এখন সিঁধেল চোররাও মিডিয়ার আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠছেন! আর সে কাজে একশ’ ভাগ সহযোগিতা করছে গোপন ক্যামেরা!
এবার আসল ঘটনায় আসা যাক!
কেনিয়ার লিমুরু এক ছোট্ট গ্রামে ঐএলাকার এক পরিবার ক্রিস্টমাসের জন্য কিছু পুষ্পমাল্য ও বাল্ব (ছোট জোনাক বাতি) কেনে।
আর সেগুলোকে ফেলে রাখে গাড়ি পার্কিং করার জায়গায়।
কিন্তু রাতের বেলা সেগুলো লাপাত্তা!
পরিবারটি ভেবেছিল কোনো ছোট্ট পুঁচকে হয়তো এ হাস্যকর কাজটি করেছে।
তবু, আসল ঘটনা জানার জন্য বাড়ির গেটে লাগানো গোপন পর্যবেক্ষক ক্যামেরা খুললেন তারা।
ওমা, একী! চোর যে তাদের সমাদর-খাতির করা প্রতিবেশী ভদ্রমহিলাই!
রেকর্ড দৃশ্যে দেখা যায়, ভদ্রমহিলা প্রথমে বাড়ির দরজায় ঢুকলেন, তারপর ফিরে গিয়ে গাড়ি পার্কিং করার স্থান থেকে এক সেট বাল্ব ও পুষ্পমাল্য নিয়ে ভাগছেন!
এ ব্যাপারে কৌতুক করে ঐ বাড়ির গৃহকর্তা জোলেনস্টার্নস বলেন, “আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে, কেউ এতো নগণ্য চুরিও করতে পারে!”
তবে, স্থানীয়রা জানান এ ধরনের ছোটখাট চুরি আরও চারবার ঘটেছে অন্য পাশের বাড়িগুলোতে।
সে যাত্রায় ধান খেয়ে বেঁচেছিলেন ‘ঘুঘু’, এবার কিন্তু ধরা পড়তেই হলো!
এ কারণে ইচ্ছে করেই স্টার্নস এর পরিবার ঠিক গোপন ক্যামেরার সামনেই চুরি হওয়া জিনিসগুলো রেখেছিলেন।।।। ***
নীলিকা নীলাচল ***