টরন্টো থেকে:-
১৯৯১ সালে ঢাকায় তথ্য অধিদফতরের ( পি আই ডি ) সদর দফতরে বদলি হয়ে এসে প্রথমে সংবাদ কক্ষে নিউজ তৈরী ও এডিটিং এর কাজ শুরু করছিলাম। পরবর্তিতে প্রথমে কৃষি মন্ত্রনালয়ে পি আর ও হিসাবে যোগদান করি । একই সাথে সেচ , বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি উন্নয়ন মন্ত্রনালয়েও অতিরিক্ত দায়িত্বে কাজ শুরু করি, কারণ আমার মন্ত্রী মহোদয় একই সাথে এ দুটি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া মন্ত্রী মহোদয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাজ কর্মও দেখা শুনা করতেন। সেকারণে আমার পূর্বসুরি বাংলাদেশ টেলিভিশনে বদলি হয়ে চলে যাবার পর থেকে আমাকে একাই এ সব মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কাজকর্ম দেখতে হতো।
কাজেই ঢাকায় আসার অল্প সময়ের মধ্যে একজন বাস্ততম পি আর ও হিসাবে আমার সময় অতিবাহিত হতে লাগলো। ঢাকায় আমার এক আও্বীয় আমাকে মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে দুই রুমের একটা বাসা ঠিক করে দিলেন। এ স্বল্প পরিসরের বাসায় আমার স্ত্রী খুবই অখুশি ছিলো। তাছাড়া ঐ বাসা থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আমার অফিস করতেও অসুবিধা হচ্ছিল । আমার অনেক সহকর্মী আজিমপুর, শাহজাহানপুর, গ্রীনরোড বা অন্যান্য সরকারী কলোনির বাসায় থেকে অফিস করে।
তবে ইতোমধ্যে জেনে গেছি যে ঢাকায় সরকারী কলোনিতে বাসা পাওয়া মানে ‘সোনার হরিন’ হাতে পাওয়া! তখনকার হিসাব মতে ঢাকায় কর্মরত প্রায় পঞ্চাশ হাজার কাডার/নন কাডার সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর জন্য সরকারী বাসা মাত্র আট হাজার। কাজেই কোথাও একটি বাসা খালি হলেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে , সেই সাথে হাজার হাজার আবেদন পত্র ও সকল প্রকারের তদ্বির ।প্রতিদিন এসব তদ্বির সংক্রান্ত আবেদন পত্র আসে এবং দু’একটা মাত্র প্রসেস হয়। বাকি গুলি পড়ে থাকে ও পরে সেগুলি গার্বেজ করা হয়। এটা আবাসন পরিদফতরের দৈনন্দিন কাজকর্মের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ।
আমার বন্ধু বান্ধব ও সহকর্মীরা আমাকে পরামর্শ দিল যে সরকারী কলোনিতে বাসার জন্য তোমার মন্ত্রী মহোদয়কে বলনা কেন? তিনি একজন প্রভাবশালী ও সিনিয়র মন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তাকে সমীহ করেন। তিনি চাইলে তো তুমি একদিনেই বাসা পেয়ে যাবে! সুতরাং আমি মনে মনে প্রস্তুতি নিলাম বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে বলার জন্য। ইতোমধ্যে জেনে গেছি কখন মন্ত্রী মহোদয়ের মুড ভালো বা খারাপ থাকে। এমন সময় বলতে হবে যাতে মন্ত্রী মহোদয় সঙ্গে সঙ্গে একশন নেন।
এখানে আমার মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যাক্তিচরিত্রের একটু ধারণা দেয়া প্রয়োজন । তিনি ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তিনি ছিলেন বাঙালি সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে অন্যতম। তিনি রাজনৈতিক বক্তৃতা বিবৃতি খুব একটা দিতেন না। তবে যে বিষয়ে কথা বলতেন সেটা ‘টু দি পয়েন্টে’ বলতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরে সিনীয়রিটির দিক থেকে মন্ত্রীসভায় তিনি ছিলেন দিতীয় ব্যাক্তি ,তাই অন্য মন্ত্রীগণ তাকে “স্যার” বলে সম্বোধন করতেন। তার রাশভারী চেহারা ও বাক্তিত্বের জন্য তদ্বির পার্টি তার কাছে খুব বেশি আসতো না। তবে আমাদের অর্থাৎ তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে আলাপ ব্যবহারে খুবই আন্তরিক ছিলেন। অবসর সময়ে বা কোথাও সফরে গেলে আমাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করতেন।
একদিন দুপুরে লাঞ্চ আওয়ারের পরে দর্শনার্থী ও তদ্বির পার্টির ভিড় একটু কম দেখলাম। মন্ত্রী মহোদয়কে বেশ খোশ মেজাজে দেখতে পেলাম। আমার মনে হল এখনই মন্ত্রী মহোদয়কে বাসার কথা বলার উপযুক্ত সময়। এ সময় মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সচিব (পি এস) ছিলেন এক ভদ্রমহিলা। তিনি সচিবালয়ে একজন সুন্দরী মহিলা হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। আমার এক ব্যাচ সিনিয়র তিনি। তাকে নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষে ঢুকলাম। আপাই আমার হয়ে বললেন , ‘স্যার, আপনার পি আর ও’তো বাসা নিয়ে খুব অসুবিধার মধ্যে আছে । একটা সরকারী বাসা তার খুবই দরকার ।’
মন্ত্রী মহোদয় বললেন, ‘কই ওতো আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেনি! তিনি বললেন, বাসার জন্য কাকে বলতে হবে?’
আমি বললাম, ‘স্যার, আমার আবেদনপত্রে আপনি মাননীয় পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়কে একটু সুপারিশ করে দিলে আশাকরি পরবর্তী বাসা বরাদ্দের মিটিংয়ে আমাকে একটা বাসা দিয়ে দেবে ।’
মন্ত্রী মহোদয় বললেন, ‘ঠিক আছে তোমার আবেদনপত্র নিয়ে আসো, আমি লিখে দেবো ।’
আমার আবেদনপত্র রেডি করাই ছিল। নিজের কক্ষে যেয়ে সেটা এনে মন্ত্রী মহোদয়কে দিলাম। তিনি মাননীয় পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়কে মার্ক করে লিখলেন,” সদয় বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হল।”
পরদিন এক সুযোগে আমি পূর্ত মন্ত্রনালয়ের পি আর ও আমার সহকর্মী বন্ধু মুস্তাফিজের কাছে গেলাম। তাকে বললাম, ‘আমাকে একটু মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষে নিয়ে চল ,আমি আমার বাসার আবেদনপত্রটি মহোদয়কে নিজহাতে দিতে চাই ।’
সে আমাকে মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষে নিয়ে গেল এবং আমি সালাম দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমার আবেদনপত্রটি দিলাম। তিনি একপলক সেটা দেখে গতানুগতিক যা করেন তাই করলেন। তিনি আমার আবেদনপত্রে পরিচালক( আবাসন পরিদফতর) কে মার্ক করে বললেন, ‘এটা আবাসন পরিদফতরে জমা দিয়ে যাও।’
মন্ত্রীর কক্ষ থেকে বের হয়ে বন্ধু মুস্তাফিজ আমাকে বলল , ‘দোস্ত, মন্ত্রী মহোদয় তো সব আবেদন পত্রই এভাবে লেখেন ও আবাসন পরিদফতরে পাঠায় দেন। কিন্তু বাসা বরাদ্দ মিটিংয়ে বাসা পায় মুষ্টিমেয় কয়েকজন মাত্র ।’ তার কথায় আশা নিরাশার দোদুল্যমান অবস্থায় নিজ কার্যালয়ে ফিরে আসলাম। ভাবলাম, মুস্তাফিজ যাই বলুক না কেন বাসা বরাদ্দোর পরবর্তী মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নাই।
পরের সপ্তাহে বাসা বরাদ্দের মিটিংয়ে আমাকে বাসা দেয়া হলোনা। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমার আবেদনপত্রের খোজ নিতে গিয়ে সেটির আর কোনো হদিসও পেলাম না। কোথায় আছে বা কি অ্যাকশন নেয়া হয়েছে তার কিছুই জানতে পারলাম না। বিষয়টি আমার মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে একদিন জানালাম। মনে হলো তিনি জেনো পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি একটু অখুশি হলেন। আমাদের সামনেই তিনি পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়কে লাল টেলিফোনে (লাল টেলিফোন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ,মন্ত্রী ও সচিবদের মধ্যে সরাসরি ও জরুরী যোগাযোগের জন্য) বললেন, ‘কি বাপার ,আমার পি আর ও’র বাসা দিলে না যে!’ অপর প্রান্ত থেকে পূর্ত মন্ত্রী মহোদয় কি বললেন আমরা শুনতে না। তবে মনে হলো আমার মন্ত্রী মহোদয়ের সরাসরি প্রশ্নের জবাবে তাকে হয়তো বলেছিলেন, তিনি এটা পরের মিটিংয়ে করে দিবেন। টেলিফোন রেখে মন্ত্রী মহোদয় বললেন, ‘আগামী মিটিংয়ে তোমাকে বাসা দেবে বলে তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ।’
মন্ত্রী মহোদয়ের এ কথা শুনে প্রায় নিশ্চিন্ত হয়ে পরের মিটিংয়ের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে শুরু করলাম । একমাস পরে যখন বাসা বরাদ্দের মিটিং হলো, তখন দেখলাম বাসা বরাদ্দের আদেশের তালিকায় আমার নাম নাই। খুবই হতাশ হলাম এ জন্য । সুযোগ বুঝে একদিন মন্ত্রী মহোদয়কে সেটা জানালে তিনিও বেশ আশ্চর্য হলেন। বিষয়টি তার ‘ইগো’তে লাগলো বলে আমার মনে হলো। তার ধারণা তিনি কিছু বললে অন্য যে কেউ সেটা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে । আমি মন্ত্রী মহোদয়কে আর একটু উস্কে দেয়ার জন্য বললাম, ‘পূর্ত মন্ত্রী মহোদয় অন্য সবার সুপারিশ যে ভাবে দেখেন ঠিক একই ভাবে আপনার সুপারিশও আবাসন পরিদফ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্য এটা বিশেষ কোনো গুরুত্ব পায়নি । সম্ভবত অন্যান্য আবেদনপত্রের মত কয়েকদিন পর ফেলে দিয়েছে ।’
মন্ত্রী মহোদয় বললেন , ‘তাই নাকি ? কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তিনি বললেন, ‘পরের মিটিংয়ের দিন তারিখ জানো তুমি?’
আমি বললাম , ‘না স্যার। তবে সাধারণত প্রতিমাসেই বাসা বরাদ্দের মিটিং হয়ে থাকে ।’
মন্ত্রী মহোদয় বললেন , ‘ঠিক আছে! বাসা বরাদ্দের মিটিংয়ের দিনই আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। ঐ সময় তোমার আবেদনপত্র’ও রেডি করে রাখবে ।’
আমি আবার একটি নুতন আবেদন পত্র রেডি করে রাখলাম এবং পরের বসা বরাদ্দ মিটিংয়ের দিন তারিখ কবে সেটা জানার জন্য বন্ধু মুস্তাফিজ সহ অন্যান্য সোর্স এর মাধ্যমে খবর রাখতে শুরু করলাম। একদিন জানতে পারলাম পরবর্তী মিটিংয়ের দিন ও সময়। পূর্ত মন্ত্রী মহোদয় ঐ মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশমত মিটিং শুরুর কিছু আগে তাকে জানালাম। সেইসাথে আমার আবেদনপত্রটিও তাকে দিলাম। এবারে মন্ত্রী মহোদয় একটু চিন্তা করে পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়কে মার্ক করে লিখলেন,- “আপনার ব্যাক্তিগত নির্দেশ ও হস্তক্ষেপ ছাড়া আমার তথ্য অফিসার বর্তমান ভাসমান অবস্থাতেই থাকবে-” মন্ত্রী মহোদয় তার লেখা শেষ করে সেটি দেখে মুচকি হেসে আবেদন পত্রটি আমাকে দিয়ে বললেন, তুমি এটি নিয়ে পূর্ত মন্ত্রনালয়ে যেয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সচিব বা পি আর ও’র কক্ষে অপেক্ষা কর। মন্ত্রী মহোদয় কয়েক মিনিটের মধ্যে তোমাকে মিটিংয়ের ভিতরেই ডাকবেন। তখন তাকে তোমার আবেদন পত্রটি দেবে।
মন্ত্রী মহোদয়ের ঐ বাতিক্রম ধর্মী লেখা দেখে হাসতে হাসতে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে তার একান্ত সচিবের কক্ষে ঢুকলাম। আপাকে মন্ত্রীর লেখাটি দেখালে তিনিও হাসলেন। তিনি বললেন, ‘তুমি কি দেখেছ ! মন্ত্রী মহোদয় পূর্ত মন্ত্রীকে কি ধরনের বাইন্ডিংস এর মধ্যে ফেলে দিয়াছেন? এবার তোমাকে বাসা না দিয়ে তার কোন উপায় নাই!’
যাইহোক, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশমত পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সচিবের কক্ষে গেলাম এবং অপেক্ষা করতে লাগলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমাকে নিয়ে একান্ত সচিবকে মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষে যাবার জন্য ডাক এলো। আমার ধারণা মন্ত্রী মহোদয় পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়কে ফোন করে আমার অপেক্ষা করার কথা তাকে জানিয়েছেন। আমি একান্ত সচিবের সাথে মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষে ঢুকলাম।
পূর্ত মন্ত্রী মহোদয় আমাকে বললেন, ‘তুমিই কি ‘স্যার’ এর পি আর ও?’
আমি বললাম, ‘জি স্যার।’
মন্ত্রী বললেন, ‘ কই তোমার আবেদনপত্র?’
আমি সেটা মন্ত্রী মহোদয়ের হাতে দিলাম। তিনি সেটা পড়ে হো হো হো করে উচ্চ সরে এক রাউন্ড হাসলেন! তার পর সেটা পড়ে মিটিংয়ে উপস্থিত সকলকে শুনালেন। মিটিংয়ে উপস্থিত সকল সদস্যই তার সাথে হাসিতে যোগ দিলেন। তিনি বললেন , ‘আপনারা দয়া করে আমাকে আগে একটা বাসা দিয়ে নিন ,পরে অন্য বাসার বিষয়ে বিবেচনা করা যাবে।’
মন্ত্রীর এ কথায় মিটিংয়ে উপস্থিত সকল সদস্য বললেন, ‘ঠিক আছে স্যার, আগে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মহোদয়ের পি আর ও সাহেবের বাসা ,পরে অন্য বাসা বরাদ্দ দেয়া হবে!’
পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের হয়ে উত্ফুল্ল চিত্তে আমার কার্যালয়ে ফিরলাম এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব আপা ও পরে মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি জানালাম । মন্ত্রী মহোদয় শুধু বললেন ,‘ ভেরি গুড , এবার খুশি তো ?’
আমি বলছিলাম, ‘জি স্যার, আপনার বিশেষ হস্তক্ষেপের জন্যই এবার বাসা পেয়েছি। আপনি এভাবে না লিখলে পূর্ত মন্ত্রী মহোদয়ের টনক নড়ত না।’ তিনি আমার কথায় সামান্য মুচকি হেসেছিলেন।
কিছুদিন পরে আবাসন পরিদফতর থেকে বসা বরাদ্দের চিঠি পেলাম। আজিমপুর সরকারী কলোনির ১৮/এ নম্বর বাসা আমাকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা সেরে মাস খানেকের মধ্যে সরকারী কলোনীর বাসায় এসে উঠলাম। আমার স্ত্রী ও অন্যান্য আত্তিয় বন্ধ বান্ধবও খুশি। আমার অফিস যাতায়াতের কষ্টও অনেকাংশে লাঘব হলো।
তো এটাই ছিল আমার সরকারী বাসা পাওয়ার প্রেক্ষাপট! মন্ত্রী মহোদয়ের লেখা সম্বলিত সেই আবেদনপত্রের একটি কপি আজও আমি আমার ব্যাক্তিগত নথিপত্রের সাথে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়াছি। কিছুদিন আগে দেশে যেয়ে আমার পুরাতন নথিপত্র গুলি দেখার সময় আবেদনপত্রটি দেখে সেই সব ঘটনা আবার মনে পরে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম বিষয়টি আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। পরবর্তিতে এ ধরনের আরো ঘটনাপুন্জি নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইলো। আজ এখানেই শেষ করছি।