তুমি আমাকে অনেক দিয়েছো এতোটা কখনওতো ভাবিনি যে এই আমি, এই আমার মত এক নগন্য ক্ষত বিক্ষত কুৎসিত একজন কি না তোমার রক্ত মাংসের শরীরে ভিতরে না দেখা কেউ হবো? “কেউ ” নামক দু’ অক্ষরের শব্দটা মাঝে মধ্যে ই এক ভাবান্তরের গুরু সভার আয়োজন করে। যেখানে আমিই বক্তা আবার আমিই শ্রোতা। যেখানে নেই কোন মানব সমাগম, নেই কোন বিশেষের বিশেষনের বিশেষ ব্যক্তি। নাহ্ আমি তো জানতাম না … সত্যি অজানার অজস্র শূন্যতা কুঁড়ে কুঁড়ে অনশন ধর্মঘটের আয়োজন করছে।

বলতে কি পারো তবে এই পৃথিবী কি জানতো ? যে এতোটা পাবো আমি? যা দিয়েছ আর যা পেয়েছি তার মাঝে রয়েছে বিস্তর সমান আগলে রাখা। যা তোমার ঐ স্নিগ্ধ চুম্বকময় চূড়ার কাছে সিয়ার্স টাওয়ার বা সি এন টাওয়ার কিছুই নয়।

যদি কখনও ফেরত চাও আমি কি দিবো ?

কিন্তু তুমি তো আমায় দিয়েছ এ পৌরাণিক বায়ুমন্ডল, দিয়েছ এ অস্তাচলের সূর্যের মহিমান্বিত হাসি, দিয়েছ শীতের রাস্তায় ফুটপাতের কোণে এক মোটা চাদর, দিয়েছ নিশুতিরাতের প্রশান্তিময় ঘুম। আমার চলাচল ঐ এক নীড়হীন নিশাচরী দেশে, গভীর রাতের একাকী ছায়াকরের সাথে দীর্ঘদিনের চিত্রকর আমি।

মনের পাগলামির জয় হয় বরাবরই আমার কাছে।

যদি কখনও প্রতিশোধের ক্ষুধা জাগে আমার কাছে পত্র দিও। দেবার মত কিছু ই নাই আমার তবু পৃথিবী জানবে না ; দিবো আমার শান্ত শিতল নিশ্বাস। পারবে তো ঐ নিশ্বাস গ্রহণ করতে ? সারা শরীর জুড়ে হবে চার দেওয়ালের নকশি ইটের সমাধি, খেজুর পাতার ঘর, চকচকে-ভেলভেটি নীলাচল। প্রাণহীন ভুবনে করবো তোমায় সাদর আমন্ত্রণ, পালকিতে করে বহুদল সৈনিক সাথে আসবে তো সেই দিন রাজার বেশে। ফিরিয়ে দেব সেদিন আমি আমার সবটুকু ঐ শান্ত শিতল নিঃশ্বাস। পারবে তো বুকের মাঝ বরাবর তলোয়ারের এক কোপ দিতে ? তখনও কি ফিরিয়ে চাইবে যা দিয়েছ আর যা নিয়েছি ? যদি ঐ তলোয়ার চালাতে হাতই কাঁপে তবে তুমি কিসের রাজা ? কিসের এতো দাপট তোমার ? কিসের তোমার ঐ বিশাল রাজ্য ? কিসের এতো বড়াই তোমার দেশ দেশান্তরে যুদ্ধজয়ের। তুমি তো পারলেই না আমায় জয় করতে ? পারলে না এক কোপে তোমার ধারালো তলোয়ার খ্যাঁচ করে আমার বুকে এফোঁড় – ওফোঁড় করতে… আমার রক্তেই ভিজিয়ে যাবে ফিরিয়ে চাওয়ার সবটুকু অনূভুতি। আমি নিঃশব্দে, নিঃসন্দেহে, নিঃভৃতে হাতে তুলে দিবো সুখের পেয়ালা। ক্লান্ত কন্ঠের প্রতিধ্বনি ভাসবে মিত্রতা হয়েছে নিষাদের বিষাদে, আজ আমি অপূর্নতায় শান্ত, তোমায় পূর্ণতার দরিয়া সম্মার্জক সম্ভারে …

কতগুলো তেলাপোকা জড়াজড়ি করছে বেসিনের উপর। ওরা মারামারি করছে না হ্রদয়ের আবেগের বহিঃপ্রকাশ করছে ঠিক বুঝতে পারলাম না। সন্ধ্যে ঘনিয়ে একটা মায়াময় আবছায়া। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম দেরও সন্ধ্যাবাতি দেবার প্রবনতা আছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার উঠতে হবে আজ।

নামহীন অজ্ঞাতনামা যুবকের কাছে
হয় মায়াময় নয়ত মায়াহীন

৭ঃ৩৫
১৩ ই, বৃহস্পতিবার ২০

৯ঃ৩৫
১২ ই, বুধবার ২০ ®

নীলিকা নীলাচল  ***

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন