কোন এক চাঁদের জ্যোৎস্নায় কোন এক কিশোরীকে কোন এক কিশোর বলেছিল “আমি তোমাকে ভালবাসি”,খুব আস্পর্ধায়, কিন্তু কিশোরী বুঝতে পারেনি বা বুঝতে চায়নি কি এর মানে।
তারপর তিন যুগ পার হয়ে গেছে,যৌবন যাই যাই করছিলো এমন এক নারী সংসারের জটাজালে বাঁধা কাঁচা পাকা চুলের এক নর কে বলে, “তুমি খরস্রোতা নদী হয়ে আমাকে প্লাবিত করো, ভাসিয়ে নিয়ে যাও অজানায় ”
নর বলে,“আমি মঙ্গা পীড়িত শুষ্ক মাঠের মত , আমি কোথায় পাবো অত জল? কোথায় পাবো তরঙ্গের দুঃসাহস ?”
নারী বলে , “জল আছে আমার চোখে,আর আমার প্রেম জোগাবে দুঃসাহস ।”
নর বলে, “আমার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যে।”
“ সে ছাই থেকে আমি ফিনিক্সের মত উজ্জীবিত করবো নব প্রেম ,তুমি সাহসী হও । ”
নর আকাশে তাকিয়ে থাকে নিশ্চুপ ,সেখানে রূপোর একতাল নিখুঁত গোল চাঁদ, তাকে ঘিরে ছোট্ট একটা হ্যালো,তার থেকে বেশ দূরে মস্ত বড় উজ্জ্বল আরও একটা হ্যালো (halo )–অবিকল মানুষের জীবন চক্রের মত ।