নরওয়ে থেকে:-

জোনাকির আলো ভালোবেসে
কতরাত্রি ছুঁটেছিনু বাংলার ঝোপঝাড়ে !
শীতের কুয়াশা ঢাকা রাতে একা একা হেটেঁছিনু কত পথঘাট !! আনমনে গেয়েছিনু হাছন রাজার গান কিংবা আবৃত্তি করেছিন জীবনানন্দের কবিতা।
গ্রীষ্মের দুপুর, গরমের তীব্রতা, শীতলপাটী, আর গাছের ছায়ায় নির্বিকার ঘুম।
১০ বৎসরের দূরত্বে দাড়িয়ে সবই যেন স্বপ্ন মনে হয় ! অতীতের দিনগুলো ছুঁতে চেয়েও ছুঁয়া যায়না আর।
এই দূরদেশে একাকী পড়ে আছি কি জানি ভালোবেসে !!
মনের আকাশটা আজ শুন্য,, না আছে জোনাকির রাত, না আছে গ্রীষ্মের দূপুর না আছে বিরুধী দলের অহেতুক হরতাল !!
আমার আশপাশ জুড়ে আজ ব্যস্ত মানুষের বিরামহীন ব্যস্ততার কোলাহল ।
মাঝে মাঝে সব ছেড়ে ছুঁড়ে বহু দূরে ছুটে যেতে ইচ্ছা করে।
রাধুনীতে বসে তানভির, দীপক,বিশ্বজিতের সাথে আড্ডা দিতে মন চায়।
মায়ের হাতও ছুঁয়ে দেখা হয়নি অনেকদিন,,
রূপবতী বনুয়ার বিল, ফেলে আসা কিশোর বেলা,, আমার সেই দুষ্ট ছেলের দল আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে,,
মনে পড়ে যায় পাখির নীড়ের মতো দুটো চুখঃ আর নীলপরী বনলতার কথা।
বেলাশেষে সব পাখি নীড়ে ফিরে। সময়ের হাত ধরে হয়তোবা ফিরে আসা হবে কোনো একদিন।
রূপবতী বনুয়ার বিল, মায়ের হাতের ছুঁয়া , দুষ্ট ছেলের দল , গ্রীষ্মের দুপুর , রাঁধুনির আড্ডা, বনলতার চাহুনি সবই যেন বেঁচে রয় যুগ যুগ ধরে।
দেখা হবে আবার কোনো একদিন সুরমার তীরে, কোনো এক রোমাঞ্চ ভরা সন্ধ্যায়।

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন