ফ্লোরিডা থেকে:-
তোমাকে দেখতে পাই, কাছে পাই না। শুনতে পাই, কথা হয় না।
চাঁদ কি কাছের না দূরের, বলতে পারো?
আমি পারি না।
উত্তর সহজ মনে হয়, সহজ নয় ।
তোমার মুখে দীপ্র হাসি ।
চোখেও।
ফুলেল্ ব্রততি যেন ওই দেহ, তন্বী দেবদারু ।
কী যেন তোমার শাড়িটার নাম ?
বস্তুত শাড়ির নামে বা দামে কী আসে যায়?
রংয়ের মূল্যটাই বেশী ।
রং-ই আমাদের অনুভূতি-উদভ্রান্ত করে, উদ্বাহু যাতনায় ভোগায়।
যে তনু সে ঢেকে রাখে, শাড়ি ছাড়াও সুন্দর তা,
আমি জানি, জানে কাঠ ঠোকরা, যে কেবল ঠোকরায়।
কী যে ঠোকরায়,সেই শুধু জানে।
আমার ভুলবোধ নয়, আমার ভিন্নভাবে দেখার চোখ।
দেহ যদি কেঁপে ওঠে ঘাসের শীষের মত, তা শুধুই হাওয়ার কারণে,
এমনটা ভাবা ঠিক নাও হতে পারে।
স্পর্শেরও বৈভব্ আছে।
স্পর্শ বস্তুবাদি জিনিস, সসীম ইন্দ্রীয়জ কিছু ।
অথচ ভালোবাসার স্পর্শের তৃষ্ণা মহাসমুদ্রের তৃষ্ণার মত,
অথবা তারও বেশী…
“মহাসমুদ্র ডোবার থেকে বড়”
কে যেন বলে।
আমার ধূর্বহ ধূসর দিন ।
মাইগ্রেনের ব্যথার মত পাংশু ও দীপ্তিহীন।
দিন নয়, গাব গাছের ছায়া।
ভুতুম পেঁচার ঘুম ঘুম চোখ, আর ভুতের কৃষ্ণ শর্বরীর মত।
কোথাও দাঁড়িয়ে আছি চুপ।
পায়ের নীচে বালু-আলু-থালু।
নারিকেল পাতায় চোখ মোছে আর্দ্র হাওয়া।
আর্দ্র আলো কারো চোখে।
সমুদ্রে শুধু জল-জল আর জল।
সফেন ঢেউ এসে ভেঙ্গে পড়ে তীরে।
তীর যেন তোমার আলতা মাখা পা।
তীর যেন মহাসমুদ্রের অন্য পাড়ের বিভ্রম।
কে যেন নাছোর , আবার বলে
“মহাসমুদ্র ডোবার চেয়ে বড়,
ডোবা লাফ দিয়ে পার হওয়া যায়,
সমুদ্র সাঁতরেও কিনার করা যায় না।”
স্মৃতির ঝিলে দল-দাম-শোলা-ধঞ্চের ছড়াছড়ি ।
ভাসমান ছোট ছোট পাতা, পিঙ্গল ও সবুজ,
কচুরীর কান কথা
স্যাঁত স্যাঁতে শ্যাওলার গা ঘেঁষে নোঙর করে থাকা
কানকা নড়ানো খলসে মাছ ,
যেন মাছ নয়- যেন অচন্চল সময়ের অতনু উদ্বোধ।
ঝিলে ঢেউ ওঠে কিন্তু বন্দী সেই উদ্বেলতা।
ঝিলে ঢেউ ওঠে কিন্তু বন্দী সেই আই ঢাই।
তুমি বুঝবে কি ?
আমি মহাসমুদ্র নই,
কত চাই সুনামীর সমান ঢেউ উঠুক
ওঠে না ।
শাহাব আহমেদ
মার্চ ২৮,২০১৮
মহাসমুদ্র ডোবার চেয়ে বড়
আমি মহাসমুদ্র নই
সুতরাং ….
লাফ দিয়ে পার হয়ে যাওয়া যায়
এবং গিয়েছে সে ,
সেই যে চাঁদের মত কাছের বা দূরের
যাকে স্পর্শ করা যেত
নারিকেল পাতায় চোখ মোছে আর্দ্র
হাওয়া যার জন্য
স্মৃতির ঝিলে কচুরীপানা কানকথা কয়,
সীমাবদ্ধ অনুভূতির ঢেউ ওঠে ।
নতুন অনুভূতির সুনামী জেগে
উঠুক , ইচ্ছে হয় ,
কিন্তু ….