নরওয়ে থেকে:-
ইন্ডিয়ান একটা সিনেমা দেখছিলাম,,
মুম্বাইয়ের ছোট্ট একটা ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ বাবা মা , ৩ যুবক ভাই, ১ বিবাহ যোগ্য বোন, সীমাহীন দারিদ্রতা আর একটু ভালোভাবে বেঁচে খাবার স্বপ্নের একই সাথে বসবাস।
এমন চিত্র বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রাম, মফস্সল, শহর বন্ধরের শতকরা ৭০% ঘরের। সীমাহীন দারিদ্রতা, হাজারো না পাওয়া আর সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকবার নূন্যতম অধিকারহীন এসব পরিবারের সদস্যরা মুখে কুলুপ এটে ভালো থাকবার স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকেন কিংবা বেঁচে থাকবার চেষ্টা করেন ।
বাংলাদেশের এসব মধ্যবিত্ত , নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের এক একটা ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করতে বাবা মায়েরা মুখ বুঝে যে কষ্ট সহ্য করেন তার সামান্যটুকুও যদি আল্লাহ/বিধাতা/ঈশ্বর দেখতে পেয়ে থাকেন তবে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কোনো বাবা মা,কেই তিনি বেহেস্ত কিংবা সর্গ যেতে সামান্য পরিমান বাধা দেবেন বলে আমার মনে হয়না।
জনগনে ভরপুর দরিদ্র একটা দেশে কাজে অকাজে অনেক সময় অনেকেরই মাথা গরম হতে পারে। তবে সামান্য কোনো ভুলে মধ্যবিত্ত ঘরের আর একটা সন্তানও যেন অকারণে ঝরে না যায় এ প্রার্থনা করি সব সময়।
মধ্যবিত্ত ঘরের একটা সন্তান ঝরে যাওয়া মানে,_ অনেক কষ্টে, অনেক ঝড় জঞ্ঝাটে দাঁড়িয়ে থাকা ভালো আগামীর একটা স্বপ্ন, একটা সম্পদ, একটা ফলবান গাছ হারিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের কোনায় কোণায়, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর স্বপ্নরা বেঁচে থাকুক আজীবন।