যখন ভুমধ্যে সাগরে সিরিয়ান রিফ্যুজি শিশুর লাশ ভাসে,
তখন  বিশ্ব   মানবতা কাঁদে।
আমরাও গিয়ে দাঁড়াই তাদের পাশে , সেটাই স্বাভাবিক।
কারণ মানবতার কোনো বর্ণ নাই , দেশ নাই ,কাল – পাত্র নাই।
কিন্তু আজ যখন নাফ নদীতে ,একটা রোহিঙ্গা শিশুর লাশ ভাসে ।
তখন আমরা চুপ করে থাকি , তখন আমাদের হৃদয় কাঁদে না ।
কারণ আমাদের শরীরে এখনো সেই গোলামীর রক্ত।
আমরা তালু চটি।শুধু হাতের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমাদের জিহ্বার কোনো পরিবর্তন হয় নাই।
আমরা সবাই কেন  একটি নির্মলেন্দ  গুন হতে পারি না ?
১৯৭১ কে টেনে কেন ২০১৭ পাশে দাড়া করে দেখি না? একই ছবি , শুধু স্থান আর সময়ের ব্যাবধান।
আমার বিবেকের চিতা অনেক আগেই জ্বালিয়েছি।
মনুষ্যত্ব জিনিসটার আমসত্ত্ব বানিয়ে টিনের চালে শুকিয়ে রেখেছি পরবর্তী জেনারেশনের ব্যবহারের জন্য।
আমার শরীরে পাওয়া গেছে Alex Haley র Roots এর DNA -র নমুনা।
আমার কাছে “মুক্তিযুদ্ধ ” একটা “গন্ডগোলের” সময় ..
আর “স্বাধীনতা” মাসীর দেয়া প্রসাদ, যা ঠাকুর ঘরে পাওয়া যায়।
আমার আত্মার মৃত্যু হয়েছে ,
স্বর্গের  বন্ধ দরজার সামনে বসে এই “টেকো মাথায়” তেল মাখছি।
অপেক্ষায় আছি দরজা খোলার, আমার কাছেতো ভিতরে যাবার “ছাড়পত্র ” আছে।

 

 

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন