নরওয়ে থেকে:-
সব আন্দোলনই বিরুধী দলের ষড়যন্ত্র নয়, এবং গণতান্ত্রিক দেশে অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অধিকার ছাত্র ছাত্রীদের আছে, এরা এখনো ১৮ পার করেনি আর এদেরকেই পুলিশ দিয়ে পেটালেন ? মনে রাখবেন, দেশে এসব শিশুদের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ , এদের রক্ত অনেক তাজা, অনেক বিশুদ্দ এবং অনেক গরম। প্রথম প্রশ্ন ওরা রাস্তায় নামতে যাবে কেন ? এদেরকে রাস্তায় নামার আগেই কেন আস্বস্ত করলেন না। এদের সাথে সুষ্ট আলোচনা না করেই এবং সীমাহীন দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীকে বহিস্কার কিংবা পানিশমেন্ট না দিয়ে এদের উপরে এভাবে ঝাপিয়ে পড়াটা মোটেও ঠিক হয় নাই। আমার ১৮ বৎসরের নিচের কোনো ছেলে -মেয়েকে যদি ফালতু কোনো মন্ত্রীর কারণে পুলিশ দিয়ে পেটানো হয় তবে আমি নিশ্চই ঘরে বসে থাকবোনা। ১৬ কোটি মানুষের দেশ, সব কিছু ঠিকঠাক করতে এখনো বিরাট বিরাট প্রতিকূলতা আছে বুঝতে পারি , তারপর কিছু নীতিগত দিক আছে সেগুলোর ব্যাপারে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে হয়। আজ হয়তোবা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পিটন খেয়ে পালিয়ে গেছে , কাল যদি হাতে হাত রেখে তাদের বাবা-মা ভাই-বোনেরা রাস্তায় নেমে যায় তবে কতজনকে পুলিশ দিয়ে পেঠাবেন ?? যেখানে আপনার সামান্য এক নির্দেশেই সবাই খুশি হতে পারতো সেখানে কেন এমন অরাজতকতা করছেন ?? আপনাকে ভালোবাসি তাই দেশ বিদেশে আমরা আপনার গল্প করি , আওয়ামীলীগের পতাকা উড়াই। প্লিজ বাচ্চাদের সাথে অন্যায় করবেন না। আমাদের বাচ্চারা আমাদের স্বপ্ন , বাংলাদেশের ভবিষৎ, আর আর নিজে খেয়ে না খেয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে মা-বাবার তাদের ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষিত নীতিবান মানুষ করবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ওদের পিঠে , ওদের মাথায় লাঠির ঘাঁ পড়লে অন্তর কেঁপে উঠে বলে দিলাম।
না দেখাগেলেও দিন দিন বাংলাদেশের উন্নতি হচ্চে এবং সেই সাথে চারদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদেরকে ধ্বংস করতে, লুটে নিতে এগোচ্ছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের ভবিষৎ, আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার, এরাই একদিন দেশ শাসন করবে, যুদ্ধ বিমান , ট্যাংক চালাবে, দেশের রাজনীতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এদেরকে সংগ্রামী, দেশপ্রেমী ও প্রতিবাদী হতে শেখানো উচিত, তাদেরকে লাটি পেঠা করে ধমিয়ে রেখে মনোবল ভেঙ্গে দিতে নেই। না হলে কাল মায়ানমার, কিংবা ইন্ডিয়া কিংবা পাকিস্তান যদি সৈন্য সামন্ত নিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় ডুকে যায় তাদেরকে প্রতিহত করতে কোনো তরুণ তরুণী বালক বালিকারা এগিয়ে আসবেনা বলে দিলাম।