সমালোচনা —– বিষয় —— সিনেমা অর্থাৎ “ছি মামা “
সবকিছু যে বাস্তবপূর্ণ হয় এটা ঠিক না। কিছু বাস্তবতা গল্পের মোড় নেয়। আবার কিছু গল্প মানুষের তৈরি শিল্প হয়।
আমাদের গল্প মানেই ছেলে এবং মেয়ের প্রেম ভিত্তিক কাহানি।।।।
মেয়েটি বড় লোক ঘরের মেয়ে হবে আর ছেলেটি অতি হত দরিদ্র ঘরের হতে হবে। আর তা না হলে কাহানি একই শুধু চরিত্র উল্টে যাবে।।। দুজনের মধ্যকার প্রেম হবে। বনে বাঁদারে জঙ্গলে নদীর পাড়ে ঝাপাইয়া ঝাপাইয়া নাচানাচি করিবে। এক পর্যায়ে জানাজানি হবে দুটি পরিবারে। কান্নার সৃষ্টি। একটি কান্নার গান। যেখানে ছেলেটি একটি রঙিন বোতল হাতে রাস্তায় ব্যাকায় চ্যাকায় হাটবে। আজকাল মডেলরা যেমন ব্যাকায় চ্যাকায় ছবি তোলে তেমন। আর মেয়েটি দৌড় দিয়ে বিছানায় যেয়ে ধপাস করে শুয়ে কোল বালিশ একটা নিয়ে বালিশটাকে ছিড়বে। এটা তার কান্নার বহিঃপ্রকাশ। মেয়েটির বাবা ডন হলে ছেলেটিকে নিয়ে কতোগুলা আশেপাশে ড্রামের ঘরে আটকে রাখবে। আবার অনেক ছবিতে দেখা যায় পুরানো শত্রুতার জোড়ে ছেলেটি এবং মেয়েটি সহ পরিবার ঝুলছে মানে আটকে রেখেছে। ছেলেটি কৌশল করে হাতের বাধন ছেড়ে মারামারি শুরু করে আর নায়িকা যিনি দূরে দাড়িয়ে উহু আহা করে। মারামারি শেষ দৌড় দিয়ে নায়িকা নায়কের কোলে ঝাপিয়ে পড়ে। এবার tv বা হলের স্ক্রিনে আসবে সমাপ্ত। অর্থাৎ হাসি খুশি জীবনযাপন শুরু।
একটা জিনিস বুঝতে বড় কষ্ট। একটা ছেলেকে ১০/১২ জন মিলে মারছে রড, দা, বাঁশ, রাম দা ইত্যাদি। কিন্তু সে জয়ী হচ্ছে তার কিছুই হচ্ছে না। কেমন একটা অবাস্তব ***** তাই না ???
যা দেখলে হাসি পায়।।।
আমি আগের বাংলা সিনেমার কথা বললাম। যখন সালমান শাহ বা ওমর সানি, নাঈম, শাবনাজ, এরা অভিনয় করত। সিনেমা বলতে কাহিনীকেন্দ্রিক পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশ। তখনও এমন কাহানি এখনও তাই। কিছু ভিন্ন ধারার আছে যা মনে সারাটা জীবন ধরে রাখে।
আজও মনে হয় যখনই শঙ্খনীল কারাগার দেখি তখনই প্রথম দেখছি। আনন্দ অশ্রু আজও মনে হয় সময় পেলে দেখবো। শাবানা অভিনীত অনেক সিনেমা দেখেছি। সত্যি বলতে তার অভিনয় অসাধারন। পালাবি কোথায় যতবার দেখেছি ততবারই খুব মজা পেয়েছি।
কিন্তু আজকাল অনেক সিনামা আছে দেখতে চাইলেও তার ভিতরে এমন সব জঘন্য ভাষা আর কিছু দৃশ্য আছে তা আর দেখার শাধ মিটায় দেয়।
আজকাল নতুন কাউকেই চিনি না। কোন নায়কের বা নায়িকার নামও জানি না। অতি মাত্রার সমালোচনার জন্য আর গ্রামীণ ফোন এর এ্যাড এর জন্য অনন্ত জলিল কে নামে চিনি। তার অভিনীত কোন ছবি দেখার আগ্রহ কখনওই হয়নি। গানের দৃশ্য গুলো কেমন যেনো বেমানান লাগে। এরাও নায়ক———–
আজ সকালে একজন এর কথার জন্যে বাংলা সিনেমা দেখলাম অনেক দিন পর। নাম অগ্নি।
এরপর সে আমায় দেখাবে অগ্নি ২।
দেখলাম। কিন্তু ভালো তো লাগলোই না বরং পারলে দেখার পর ভাবছি এটা আমি কি দেখলাম। ক্রাইম এর পর ক্রাইম একটা মেয়ে করেই যাচ্ছে শুধুমাত্র খুনের প্রতিশোধ।।।। মেয়েটি মারামারি করছে। হাস্যকর লাগলো। চেষ্টা করেছে বাস্তবপূর্ন ফুটিয়ে তোলার কিন্তু আমার কাছে হাস্যকর লাগছে। যাইহোক, কিন্তু সিনেমা দেখতে যেয়ে কিছু ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে যা সত্যিই দুঃখজনক। এবার অগ্নি ২ সিক্যুয়াল আইটেম গান দেখে হাসবো না কানবো না চুল ছেড়বো বুঝলাম না।
Magic Mamuni, how funny song yaar………….
ঠিক খোকা বাবু যায় লাল জুতা পায়, বড় বড় দিদিরা সব উঁকি মেরে চায়।।।। তেমনি funny song…..
বুঝলাম বাংলাদেশেও পাশ্চাত্যের হাওয়া লেগেছে। আইটেম গান আর অতি ছোট কাপড় পরিহৃত কিছু সাদা মেয়ের ব্যাকায় ব্যাকায় নাচানাচি।
ছেলেদের দেখি আজকাল সবুজ টি- শার্ট, হলুদ প্যান্ট আর লাল জুতা পড়ে ক্যামেরায় খুব স্বাচ্ছন্দ্যে নাচানাচি করে অভিনয় করে। সত্যি দেখলে অবাক লাগে এটা কি ধরনের style ////
তবে সত্যি বলতে ওপার বাংলার কিছু সিনেমা আছে যা আসলে মন ছুঁয়ে যায়। তবে এখন ইদানিং ওখানেও সেই একই অবস্থা।
বোঝে না সে বোঝে না, প্রেম আমার, লে ছক্কা, দুই পৃথিবী, বা চিরদিন তুমি যে আমার, চিরদিন তুমি যে আমার ২,অন্তহীন, চলো পাল্টাই, অটোগ্রাফ, এর মত আর সিনেমা হচ্ছে না।
kuch kuch hota hay, Mujhse dosti korogi, kabhi al bidha naa kehe naa, veer jara, chennai express…. 3 idiot
যা ভালো সেটা সারাজীবন মানুষের মনকে ছুঁয়ে থাকে।।।।।।।। আজো হারানো সুর যে যে বয়সেই দেখুক না কেনো ঔ অসাধারন গল্পে আর শৈল্পিকপূর্ণ উত্তম – সূচিত্রার অভিনয় ভুলতে পারবে না।
তখন কত বয়স আমার মনে নাই তবে শুধু মনে আছে আমাদের বংশের বড় ভাই নতুন চাকুরি পেয়ে সেই প্রথম বেতনে আমাদের সব ভাইবোন কে খুলনা সোসাইটি সিনেমা হলে নিয়ে যায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত দেখানোর জন্য। ছবিটি নকল হলেও আজও মনে গেঁথে আছে।।।। বাসায় এসে কেঁদেছিলাম, আহা দুজনেই মরে। আমার তখনের ধারনা ছিল সত্যি সত্যি মরে গেছে। কিন্তু বড় হয়ে বুঝেছি যখন এটা ভাবলে এখনও হাসি পায়।
ভালো জিনিস দেখতে ভালো লাগে মনকে আকৃষ্ট করে। সিনেমা হচ্ছে বিনোদন। কিন্তু সেই বিনোদন যদি হয় যন্ত্রণাদায়ক।।।।
হায়রে বলেন তো আমরা অতি সাধারন জনগন কোথায় যাই ?????????????????????????????
।
সময় : বিকাল ৫:৩০