মুকুল ভাইয়ের “২০ কোটি টাকার মার্সিডিজ ৩ টাকার চাদর দিয়ে ঢাকা !!!!” লেখাটা পড়ে বাংলাদেশের সরকারী অফিসার আরেকটা চিত্র মনে পড়ে গেল। সাধারণত এই পদ্ধতিটা খুবই প্রচলিত।
অফিস বড় সাহেব আর কেরানির মধ্যবর্তী অবস্থানে যারা অফিসার পর্যায় কর্মরত আছেন , এই অভ্যাসটি সাধারণত তারাই প্র্যাক্টিস করেন। সারা বছর , শীত হোক আর গ্রীষ্মই হোক তাদের অফিসার চেয়ারের পিছনে একটা কোট ঝুলানো থাকে। যা কিনা অফিসে তাদের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করে। এমন কি ছুটির দিনগুলোতেও। বছরের পর বছর পড়ে থেকে থেকে ধুলো জমে একসময় রংটাও পাল্টে যায়। কিন্তু কোটটা সরানো হয়না।
সাধারনত সরকারী অফিসার কিছু ফাঁকিবাজ অফিসাররা অফিস হাজিরা দেবের পরে বেরিয়ে যান নিজের ব্যাক্তিগত কাজের জন্য। কখনো বাড়ির বৌর ফুট – ফরমাশ খাটার জন্য। বৌয়ের জুতা স্যান্ডেলের সাইজও পরিবর্তন করার জন্য। অথবা বাইরে চায়ের দোকানে বসে মক্কেল ফিট দেবার কাজে ব্যাস্ত থাকেন। আবার কখনো দুপুরের পরে কাট মেরে কাঁচা বাজারটাও সেরে ফেলেন।
কোটটা কিন্তু বরাবর ঝুলে আছে চেয়ারের পিছনে। যদি কোনো দর্শনার্থী বা বড় সাহেব এসে পড়েন , কোটটা বলে দিবে সাহেব কাছে কোথাও আছেন। কোটটা আছে কিন্তু কোটের মধ্যে বাবু নেই !!!! উনি হয়তো কোনো সহকর্মীর কামরায় বসে ধূমপান করছেন আর পান চিবুচ্ছেন। আর খুব নিখুঁত ভাবে পানের পিকটা ছুড়ে মারছেন দেয়ালের কোনায় রাখা পেপার বাস্কেটটার মধ্যে। ওনার নিশানা যে কত নিখুঁত তার প্রমান মিলে অফিসার কোনার দেয়াল গুলো দেখলে। যেন কোনো শিল্পীর তৈল চিত্র… …
OMG, I swear; seeing the “paner pik” one the wall I truly thought it was a paint. I don’t think any great painter even could paint that good, the difference is, it represents the carelessness and ugliness of those “kot babu’s” mentality!! IRONY
আপনার লেখাটা ঠিক আছে…তবে এটি সাধারণত নিম্ন বা মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য। বিষয়টি কোনো উর্ধতন কর্মকর্তার জন্য প্রযোজ্য নয়। তাদের কক্ষে আলনা থাকে বা ভিতরে ছোট কক্ষে বা বাথরুমে কোট ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা আছে। যাইহোক,এটি বাংলাদেশের অনেক অফিসেই দৃষ্টিগোচর হয়…..