একটি দরিদ্র পরিবাব। বাবা মা ওরা তিনভাই। দারিদ্রতার মাঝেও সুখ ছিলো। হঠাৎ মা’টা মরে গেলো। স্ত্রী শোকে দিশেহারা বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দিলো, তিনি দেশান্তরি হলেন। একবছর পর বাবার মৃত্যু সংবাদ এলো।
ছোট দুটো ভাইকে এতিমখানায় রেখে বড়ভাই ঢাকায় এলো খালার আশ্রয়ে। শুরু হলো কঠিন সংগ্রামী জীবন। হাল ছাড়েনি সে। পরিশ্রমের পাশাপাশি লেখাপড়া। বেশ চলছিলো। স্বপ্নরাজ ছেলেটি যখন সিদ্ধান্ত নিলো, এবার একটা বাসা নেবে, ভাই দুটোকে এতিমখানা থেকে ছাড়িয়ে এনে কাছে রেখে আদর যত্নে বড় করবে।
আবারও বিধিবাম। ঘাতক বাস চালকের নির্মমতায়, ঠাঁই হলো হাসপাতালের বিছানায়। একটা হাত নেই, নির্বাক চোখ উত্তর খুঁজে ফেরে,,কেন? কোন অপরাধে?
ক্ষীণ আশার আলো আবারও ফুটে উঠেছিলো। কিন্তু না, মাথার আঘাতটা সে আলো ফুৎকারে নিভিয়ে দিলো।
আইসিইউ-এর বিছানায় এখন শুয়ে আছে সে। নিথর দেহ, যান্ত্রিক শ্বাসযোগ। কারো ডাকে সাড়া নেই।
তোমরা কেউ তাকে ডেকো না। সে এখন একান্তে কথা বলছে তার ভাগ্য বিধাতার সাথে। হয়তো সে প্রশ্ন করছে, হে বিধাতা কি আমার অপরাধ? আমার জন্য তোমার কলমে কেন এ ভাগ্য লিখন?
আমরা জানি না বিধাতা তাকে কি জবাব দিলেন? শুধু এটুকু প্রার্থনা করতে পারি, হে বিধাতা, তুমি রাজিব-কে ফিরিয়ে দাও। অসহায় দুটি ভাই এতিমখানায় অপেক্ষায়।।।