প্রচলিত একটা কথা, যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন। আচ্ছা, সমীকরণ মেলাতে বাহান্ন তেপ্পান্ন পর্যন্ত যেতে হলো কেন? যাহা তিন তাহাই চার বললে কি চলতো না?
না চলতো না, সমীকরণ মেলাতে অনেকটা দূর যেতেই হয়। সমীকরণ মেলানো সহজ নয়। পরিপক্ব সময়,পরিপক্ব মন, পরিপক্ক প্রেক্ষাপট সব মিলিয়ে সমীকরণ।
সম্পর্ক, সম্পর্ক কি? পারস্পরিক প্রয়োজনের নাম? শুধুই কি প্রয়োজন? প্রশ্ন হলো ” চাওয়া “। কি চায়? আমি আপনি সে তিনি তাহারা, কি চাই আমরা?
বলা হয়ে থাকে, জীবনটা রঙ্গমঞ্চ। না, এটা ভুল কথা, জীবন রঙ্গমঞ্চ নয়। জীবন ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাস্তবতার যাত্রাপথ অতিক্রমের ইতিহাস।
সেই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বেশির ভাগ দাম্পত্য জীবনে কিছু ফাঁক থেকেই যায়, কিছু অপ্রাপ্তি থেকেই যায়। এটা কারো অপরাধ নয়, এটার নাম বাস্তবতা।
আর সেই ফাঁক টুকু বড় অপ্রাপ্তি মনে করে, সেটুকু পূরণের পদক্ষেপের নাম পরকীয়া। যা নিঃশর্ত ভাবে শুরু হলেও একসময় শর্তের ডালপালা গজাতে থাকে, চাহিদা বাড়তে বাড়তে অনিশ্চয়তা আর বিভ্রান্তির পথ ধরে হাঁটতে থাকে। শুরু হয় অপরাধ বোধ এর ঝড়। আর তখনই শেষ চাহিদা সামনে এসে দাঁড়ায়, ” আমি স্বীকৃতি চাই, আমি সন্মান চাই, আমিও সংসার চাই “।
এটাই হলো বিপত্তির শেষ ধাপ। যার পরিণতি কখনো কখনো ভয়াবহ।
পাওয়া, না পাওয়া, প্রেম, অপ্রেম, বিশ্বাস, অবিশ্বাস এগুলো জীবনেরই একটা অংশ।
আসলে জীবনটা একটা ঘোর। এই ঘোরের মাঝেই আমাদের বসবাস।
একটি দেশের সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দিলো সেটা বড় কথা নয়। আমার বিবেকের আদালত জীবিত না মৃত সেটাই বড় কথা।