বিয়ে নিয়ে আজকাল দেখি অনেকেই অনেক কিছু লিখে। তারা লিখে আমি দেখি, আমি দেখি তারা লিখে। তাদের লেখায় অনেক পাকা হাতের ছোঁয়া। দেখে দেখে কেনো জানি মনে হলো সত্যিটা কি? বিয়ে নিয়ে সবাই এত্তো গবেষণা কেন করে ? বিয়ে কি? বিয়ে কেন করে? এর উপকার এবং অপকারীতা কি??????
-বিয়ে একটা ধর্ম মতে এবং আইনগত বন্ধন।
-বিয়ে মানসিক ও শারীরিক চাহিদা পূরনের জন্য করে।
-এর উপকারে ১০/১২ আন্ডা বাচ্চা হয়।
– দুই পরিবারের একটা সুসম্পর্ক থাকে। সারা জীবন একজন পুরুষ এবং একজন নারী একে অপরকে নিঃসার্থভাবে মুখ বুজে ছাড় দিয়ে আসে।
– আর অপকারীতা বলতে এরা নিজের কাছেই এক সময় নিজেকে হারিয়ে ফেলে সবাইকে সুখি করতে যেয়ে।

একটা ছেলে পক্ষ মেয়ের বাসায় দেখতে আসে। পেট পুরে খায় পরে সিদ্ধান্ত দিবে বলে চলে যায়। পরে বলে এটা না ওটা পছন্দ হয়নি। আবার কোনো না কোনো উপায় মেয়ের বাপ না ভাই যোগার করে কাউকে। সেই পুনরাবৃত্তি মেয়ে আসে বসে দেখে। না হলে রেস্টুরেন্ট এ যেয়ে দেখে একটু আধুনিকতার পরশ আর কি। কিন্তু যে লাউ সেই কদু। মেয়েটা হয় পুতুল আর ছেলেটা হয় মিঃ বিন।
এবার যদি তাদের মধ্যে মোট কথা ছেলে আর মেয়ের বিয়ে কিন্তু তাদের পছন্দ না হলেও পরিবারের মধ্যে যদি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে তাদের পরিবারের লোকরা যেকোন উপায়ে এক করার পন্থা বের করবে। মেয়েকে বলা হবে এমন সোনার টুকরা ছেলে কোথাউ পাবে না। আর ছেলেকে বলা হবে এমন লক্ষিতা তুমিই পাচ্ছো তোমার ভাগ্য কত্তো ভালো।
পরিবারের সুখের জন্য হয়ত এরা হ্যা বলে আর পরিবার মনে করে আমরা তো ভালো থাকে জেনো সব ভালো হয় জেনো তাই দেখেশুনেই করছি।
কিন্তু কখনও মনকে কেউ বুঝতে পারে কি ?????
কখনও কি পরিবার ভেবে দেখে যে অপরিচিত অসমবয়সী দুজন নিজেদের মধ্যে একতা করবে কি করে ????
অনেকেই বলবে আমরা তাহলে সংসার করছি কি করে? হ্যা তাদেরেও এভাবেই বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে পরিবারকে শুধুমাত্র সুখি করতে যেয়ে এত বড় অবদান করেছে তারা। তাদের অসমবয়সীকে সমজতা করতে হয়ত বহু সময় লেগেছে।
আর আমরা পরিবারের লোকজন মনে করছি বাহ কি সুন্দর ভাবে বিয়েটা সম্পন্ন করতে পারলাম। কত বড় কাজের কাজ করলাম।
মেয়েটির মনের সাথে মিল নাও হতে পারে ছেলেটির। আবার একই ঘটনা ছেলেটির ক্ষেত্র ও হতে পারে। অনেকের মতে সমবয়সি বিয়ে ঠিক না, মেয়ের থেকে বয়সে ছোট মানানসই না, মেয়ের থেকে বয়সে বড় সেটা যুগোপযোগী। এখন মেয়ের থেকে যদি সেই ব্যাক্তির বয়স হয় তিন গুন। তাহলে তো মেয়েটির অবস্থা দস্যুরানী ফুলোনদেবীর মত। পাঁচ / বছরের বড় হলে শাসন এর উপর রাখবে মেয়েটিকে। তার পছন্দটাই মেয়েটির উপর চাপিয়ে দিবে। বয়সে ছোট হলে ন্যাকামি করবে। সমবয়সি হলে দুইজনেই মাতব্বর।
আমরা পরিবারের লোকজন নিজেদের সব বিবেচনা করেই একটা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে ছেলেমেয়েটি সুখি কি না এটা ভাবি না, মনে করি আমরা একটা গুরু দায়িত্ব পালন করলাম।
একজনের মনের সাথে আরেকজন এর মনটা একই কিনা সেটা দেখে না। পরিবারে পরিবারে status টা ঠিক থাকবে কিনা সেটা দেখে।
আর সারা জীবন হয়ত সুপ্ত কোনো বাসনা নিয়েই পার করে ঐ দুইজন। পরে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে মেনে নেয় আর মানিয়ে নেয় নিজেদের অসত্বিত্ব।
একই ছাদের তলে সুখি দম্পতী হয়েও কোন না কোন আক্ষেপ থেকেই যায়। যা সমুদ্রের গভীরতলদেশে লুকিয়েই থাকে কখনও প্রকাশ পায় না।
শুধু দুটি মানুষ পরিবারের সুখের জন্য আত্মত্যাগ।

আপনার কাছের মানুষগুলো মন না বুঝলে দূরের মানুষগুলোও মন বুঝবে না কখনওই।।।।। এটাই চিরন্তন সত্য। আপনি শুধু হবেন একটা চাবি দেওয়া পুতুল।
হয়ত কোন রাতে আপনি /আপনার মনের অজান্তেই গান গেয়ে উঠবেন,,

শুয়াচান পাখি আামার শুয়াচান পাখি
আমি ডাকি তুমি ঘুমায়তেছ নাকি
তুমি আমি জনম ভরা ছিলাম মাখামাখি
আজ কেন হলি নিরব
মেলো দুটি আখিরে পাখি।।।।
বুলবুলি, আর তোতা ময়না কত নামে ডাকি
শিকল কেটে চলে গেলে
কারে লইয়া থাকিরে পাখি।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

অথচ আপনার এই নিরব আর্তনাদ কেউ দেখবে না। সবাই ভাববে আপনি ভালো আছেন। আপনি সুখি আছেন। আপনার কোন অভাব নাই।।।।।।।।
এটাই নিয়ম, এটাই দুনিয়া ———
আজব মানুষের দুনিয়ায় আজব কান্ডকারখানা।

রাত —- ১০:০০ ///

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন