কানাডাতে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী ফেইবুক গ্রুপ পেজ আছে। যাদের সদস্য সংখ্যাও বেশ উল্লেখযোগ্য। এই গ্রুপগুলির কাজকর্ম নিঃসন্ধেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্লাটফর্মে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা আর তথ্য বিনিময় হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে আমরা সবাই বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে উপকৃতও হয়ে থাকি । এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মশালা বা ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে কমিউনিটিকে তারা সাহায্য ও একএিত করে থাকেন। এই গ্রুপগুলিতে সমাজের সব ধরণের পেশার মানুষ আছেন। তাদের অনেকেই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বনামধন্য আর প্রতিষ্ঠিত।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকেই তাদের সমস্যার কথাটা এই সব ফেসবুক গ্ৰুপে তুলে ধরেন একটি সঠিক পরামর্শ বা দিক নির্দশনা পাবার আশায়। তারা এটাই আশা করেন যে এটা একটি সঠিক আর নির্ভরযোগ্য জায়গা , যেখানে তিনি একটা ভালো সমাধানের পথ খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু বিপত্তিটা শুরু হয় তখনি। তখন ওটা আর ফেইবুক গ্রুপ থাকে না, পরিণত হয় রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের রাজসভায়। যেখানে গোপাল ভাঁড়ের ভাষায় সবাই ডাক্তার। একটি শ্রেনী আছেন শুরুটাই করবেন নেতিবাচক মন্তব্যের মাধ্যমে আর সেই সাথে প্রশ্নকর্তার মনে ভয় ধরিয়ে দিবেন যে উনি একটা বিরাট বিপদের মধ্যে পড়েছেন। যেখান থেকে বের হবার আর কোনো উপায় নাই। এক কথায় , সরাসরি এটাই বলে দিবেন – You are in big trouble.। বাস্তব ক্ষেত্রে হয়তো ফলাফল তেমনটা নয়। আর ফলাফলটা যদি বিপদজনক কিছু অনুমানও করেন , তাকে সঠিক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিন। সম্ভব হলে সেই সঠিক মানুষটির খোঁজ তাকে দিন। কে সেই সঠিক ব্যাক্তি ? প্রশ্ন কর্তার সমস্যাটা যদি আইন গত হয় তবে সেই সঠিক ব্যাক্তি একজন আইনজীবী। সমস্যাটা যদি স্বাস্থগত হয় তবে সেই সঠিক ব্যাক্তি একজন চিকিৎসক। অর্থাৎ তার সমস্যার উপর নির্ভর করে তার জন্য সঠিক ব্যাক্তিটি কে। আপনি বা আমি যদি পেশাগত ভাবে ওই সংশ্লিষ্ট বিষয়র উপর পারদর্শী না হই , সে ক্ষেত্রে আমাদের চুপ করে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু বাস্তবে ঘটে ঠিক তার উল্টোটা , শুরুটাই করি আমরা নেতিবাচক মন্তব্যের মাধ্যমে। যে আশার আলোর সন্ধানে উনি গ্রূপের সাহায্য চেয়ে ছিলন সেটা শুধু নিভেই যায় না। তার হতাশার মাত্রাটাও বেড়ে যায়।
তবে সবাই কিন্তু এই শ্ৰেণীর অন্তুর্ভুক্ত নয় ,অনেকেই আবার সঠিক পরামর্শও দেবার চেষ্টা করেন। । একটু দারিতে হলেও সঠিক ব্যাক্তিটি কিন্তু এক সময় ঠিকই পাশে এসে দাঁড়ান । এবং সঠিক পরামর্শটাই দেন। এই যে সময়ের ব্যাবধান টুকু-এর মধ্যে ওই ব্যাক্তির মানসিক অবস্থাটা একটু ভাবে দেখবেন। আপনার একটি নেতিবাচক কথা তাকে যেমন হতাশাগ্রস্ত করতে পারে ঠিক তেমনি আপনার একটা ইতিবাচক কথা তার বিপদের মুহূর্তে তাকে কিছুটা স্বস্তিও দিতে পারে। প্রশ্নকর্তা কিন্তু একটু স্বস্তির আশায় গ্রুপগুলিতে সহযোগিতা কামনা করেন।
আসুন কোনো সাহায্য চাওয়া পোস্ট থাকলে , তার জন্য কিছু না করতে পারলেও তাকে অন্তত একটু আশার বাণী শোনাই।