আমার আজ ও মনে পড়ে ১৯৬৩ সনের সেই দিন গুলি ।আমি সবে মাত্র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হয়েছি । সে সময় সপ্তাহে একদিন প্রতি শুক্র বারে কুমিল্লা রূপ কথা সিনেমা হলে ইন্ডিয়ান মুভি (উত্তম কুমার/সুচিত্রা সেন) দেখানো হতো । কলেজ থেকে ফেরার পথে সিনেমা হলের লাইনে দাঁড়িয়ে ১ টাকা (তৃতীয় শ্রেণী)দিয়ে টিকেট কিনে মহা আনন্দে হলে আরো ও দু’একজন বন্ধুদের সঙ্গে ঢুকে পড়তাম । চার পয়সার বাদাম নিতাম ফেরিওয়ালার কাছ থেকে,আর তাই কত আনন্দ । মনে পড়ে, সেই দিনের মুভি ছিল “সাগরিকা” ,উত্তম কুমার ডাক্তারি পড়াশুনা শেষ করে টিচার হিসাবে মেডিকেল কলেজে কাজ করে । ওর রেজাল্ট অত্যন্ত ব্রিলিয়েন্ট, কলেজ প্রিন্সিপাল উত্তম কুমারের স্কলারশিপ অনুমোধন করলেই বিলেতে FRCS পড়াশুনা করতে যাবে । সে তো এক বিরাট স্বপ্ন, উত্তম কুমারের মতো পিতৃহীন গরিব ছেলে কি বিলেতে পড়া শুনা করতে যেতে পারে? কিন্তু কি হলো !কলেজের তারই ছাত্রী “সুচিত্রার সেনের সঙ্গে এক ধাক্কা.” উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের অফিসে অভিযোগ ,প্রিন্সিপাল রেগে গিয়ে তার স্কলারশিপ ক্যানসেল করে দিলেন । উত্তম কুমার ভেঙে পড়লেন,কিন্তু মনোবল হারালেন না ।তার জেঠা মশাই পিতৃহীন ছেলের দায়িত্ব নিলেন এবং জমি জমা বিক্রি করে তাকে বিলেতে পাঠিয়ে দিলেন ।
সেই যুগে বিলাতে পড়াশুনা করতে যাওয়া একটা বিরাট স্বপ্ন ছিল । প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁনের “ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র,”মুহাম্মদ আব্দুল হাই এর লেখা ভ্রমণ কাহিনী “বিলাতে সাড়ে সাতসো দিন” এ গুলি পড়ে স্বপ্নে দেখতাম যদি কোনো দিন বিলেতে বা অন্য কোন দেশে যাওয়া যায় । কিন্তু আজকাল আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা ও কাজের জন্য শুধু বিলাত নয়,পৃথিবীর যে কোনো দেশেই যায়, এমন কি সুদূর আইস লান্ড যেখানে বরফ আর ঠান্ডা, অনেক সময় সূর্যই দেখা যায় না । আমাদের প্রতিবেশী এক বাঙ্গালী ভদ্র লোক কয়েক বৎসর আইস লান্ড ছিলেন। তার কাছ থেকে মাঝে মধ্যে ওখানকার গল্প শুনি। আমাদের আর এক বন্ধুর দুই মেয়ে গত বৎসর গ্রীষ্মে ওই দেশে বেড়াতে গিয়েছিলো।
আমাদের ছেলে মেয়েরা মিডল ইস্ট এর দেশগুলিতে বিভিন্ন কোম্পানীর মাধ্যমে শুধু যে অন্যের কাজ করে তা না ! তারা মরুভূমিতে জমি বন্ধক নিয়ে সবজির চাষ করে ও অনেকে অনেক লাভবান হচ্ছে। তাছাড়া এই ছেলে মেয়েরা সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলিতে রেফিউজি হিসাবে এটা সেটা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দালালের খপ্পরে পড়ে নিজেদের সর্বোচ্ছ হারাচ্ছে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমার জানা শুনা এক ছেলে দালালকে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে। শর্ত তাকে মাল দ্বীপে নিয়ে গিয়ে থাকার পার্মিট সহ কাজ দিবে । দেশে সব টাকা দালালকে পরিশোধ করেছে । দালাল তাকে বোম্বে পাঠিয়ে ২ মাস রেখে আজ পাঠাচ্ছি ,কাল পাঠাচ্ছি করে আরো ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিয়েছে । গরিব মানুষ জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছে। উপায় কি? দেশে বাবাকে টেলিফোন করে তার এই সমস্যা জানিয়েছে । অসহায় বাবা জমি বন্ধক দিয়ে আর ও টাকা ম্যানেজ করে পাঠিয়েছে । এবার তাকে বোম্বে থেকে কলম্বো (শ্ৰীলংকা) নিয়ে আর ও এক মাস রেখে তার পর মালদ্বীপ পাঠিয়েছে ।আজ দুই বৎসর তার ওয়ার্ক পার্মিট এবং কাজ নাই। এখানে সেখানে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে ও যা পায় তাই করে। এ দিকে সারা দুনিয়া জোড়া করোনা ভাইরাস । আমি সর্ব শেষ খবর জানিনা, সে কি অবস্থায় আছে।ইউরোপ এবং মিডল ইস্টের প্রতিটি দেশে আমাদের ছেলে মেয়েরা দুর্বিসহ অবস্থায় আছে । এমন ও শুনা যায় দালাল প্রলোভন দেখিয়ে পয়সা দিতে হবে না বলে শিপে উঠিয়ে কোনো অজানা দ্বীপে আটকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অসহায় মা বাবার কাছ থেকে আদায় করে ছেড়ে দিচ্ছে । বহু ছেলে মেয়ে লিবিয়া ও অন্যান্য দেশে মারা ও যাচ্ছে । যারা দালালি করে তারা ও তো আমাদের দেশেরই লোক, এক জন লোক আর এক জন লোকের সঙ্গে কি ভাবে প্রতারনা করে ?
দেশে ছুটিতে গেলে অনেকে বলে আমাদেরকে কানাডায় নিয়ে যান । এখানকার আইন কানুন ওরা বুঝতে চায় না । ওদেরকে যদি বলি IELTS টেস্ট দিয়ে ভালো স্কোর করে চেষ্টা করেন ।ওরা মনে করে ওদেরকে এভোইড করার জন্য এ সব কথা বলি । কিন্তু এ সব দেশে আসতে চাইলে ইংলিশ (বলা,শুনা ও লিখিত) ভালো জ্ঞান থাকা দরকার ।
প্রতিটি ছেলে মেয়ে যারা বিদেশে আসতে চায় ,তাদের .বি এ /এম.এ পাস্ ছাড়া ও টেকনিকাল স্কিল ডেভেলপ করা প্রয়োজন । যখনই সে বিদেশে যায়, তার স্কুল,কলেজের ডিগ্রী সরা সরি কাজে দেয় না । যে কাজ গুলি সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়, তা আগে থেকে কিছুটা জানা থাকলে কাজ পাইতে অনেক সহজ হয় । আমি আগের লিখাতে কিছু কাজের কথা বলেছি, এখানে আরো কিছু কাজ সম্পর্কে বলা দরকার মনে করছি:
১) হসপিটালিটি (আতিথিয়তা): হোটেল ও রেস্টুরেন্টে অথিতিদের রিসিভ করা ,সেবা দান করার নাম হসপিটালিটি। সুন্দর পোশাক, হাসিমুখে অতিথিদের গ্রহণ করা, তাদের চটপট সাহায্য করা এবং খাওয়া সার্ভ করা ও খোঁজ খবর নেয়া এই কাজ । এখানে কলেজে এ জাতীয় কোর্স শিখানো হয়।এই কোর্স গুলিতে সাধারণতঃ কাস্টোমারদের সেবা দান মূল উদ্যেশ্য । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর ট্যুরিস্ট লোকদের আসা যাওয়া এবং তাদের সঙ্গে চটপট কথা বার্তা ও হাসিমুখে সার্ভিস দেয়ার উপর ব্যবসা বাণিজ্য নির্ভর করে। তবে এই কোর্স গুলির সঙ্গে বেকারির কাজ ও শিখানো হয় ।
বেকারি :যারা বেকারির কাজ জানে, তারা ভালো কাজ পেয়ে থাকে যেমন মাফিন, ব্রেড,বিস্কুটস, কেক (জন্মদিনের,বিভিন্ন অনুষ্টানে ব্যাবরিত), পাই, পেস্ট্রিজ, কুকিজ আরো কত কি? শিখলে যেখানে সেখানে ফ্যাক্টরি দেয়া যেতে পারে,তা ছাড়া বিদেশে গেলে ওদের কাজ পাইতে কষ্ট হয় না এবং ওরা অনেক পয়সা রোজগার করতে পারে । বাংলাদেশে ও রাস্তার পার্শে ফার্স্ট ফুড রেস্টুরেন্ট এবং বেকারির দোকান দিয়ে সামনে সুন্দর পরিষ্কার বসার ব্যবস্থা ও ওয়াশরুম থাকলে, পথযাত্রী বা টুরিস্ট গাড়ি থামিয়ে চা/কফি, কেক, ব্যাগেল বা প্রয়োজনীয় খাবার সেরে রেস্ট নিয়ে তাদের গন্তব্যের স্থলে যেতে পারে । টরন্টো থেকে নিউ ইয়র্ক বাস অথবা গাড়িতে ৯/১০ ঘন্টার পথ। এক টানা কেউ গাড়ি বা বাস চালায় না। যাত্রীরা আস্তে আস্তে রেস্ট নিয়ে যায় । এখানে ফার্স্ট ফুড রেস্টুরেন্টে প্রচুর ভিড় হয়। সড়ক এবং যানবাহন আমাদের দেশে ও আছে । কিন্তু এ ধরণের ব্যবস্থা নাই এবং যে জন্য যাত্রীরা জার্নিতে অত্যধিক ক্লান্ত থাকে।
বহু দিন পূর্বে এক ভদ্র লোক আমাদের বাসায় পরিবার নিয়ে এসেছিলেন ।উনি কাতার স্টিল মিলসে(কাতার) অনেকদিন অটো মেকানিক হিসাবে কাজ করতেন । নাউলী ইমিগ্র্যান্ট, কিছুদিন মাত্র এসেছেন ,এখানকার রাস্তা ও ভালো করে চিনেন না। ওর কথা শুনে আমি অবাক হয়েছি, উনি বলেন,” আরে ভাই বলেন কি? ” এখানে আমার কাজের অভাব নাই । রাস্তার পার্শে দাঁড়িয়ে গাড়ি ঠিক করলে ও ভালো রোজগার করতে পারি ।” আমি দেখলাম ওর কাজ নিয়ে কোন চিন্তা নাই । কানাডায় অটো মেকানিক শপে এত ভিড় থাকে যে, অনেক সময় গাড়ি ফেরত দিয়ে দেয়, কাজ করতে পারবে না বলে । এ দেশে কাজের মূল্যায়ন বেশি । কাজ জানলে রাতা রাতি বাড়ি/গাড়ি কিনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়, উল্টা,পাল্টা ডান হাত/ বাম হাতের রোজগার নাই,মানুষ সৎ ভাবে কাজ করে ।
কম্পিউটার স্কিলস : কম্পিউটার ছাড়া আজ কাল একদম চলেনা । কম্পিউটার রেপাইরস এন্ড আপগ্রেড জানা থাকলে নিজেরা ও দোকান দিয়ে বহু পয়সা রোজকার করা যায় ।
রেফ্রিজারেটর্স/মাইক্রোওয়েভ(রেপা
হেয়ার কাটিং: এ দেশে বেশির ভাগ হেয়ার কাটার্স chinese বা vietnamese , এরা এত ব্যাস্ত থাকে, দোকানে গিয়ে সিরিয়েল নম্বর লাগাতে হয়। এরা কাজে অনেক চটপট, ৬/৭ মিনিটের মধ্যে একটা চুল কাটা শেষ করে ।একটা চুল(শেভ সহ) কাটা ১৫/১৬ ডলার নেয় । বাংলাদেশে এ সব কাজ এখন পয্যন্ত অবহেলিত,” চুল কাটবো? বাপ্ দাদার ইজ্জত সব ডুবাইব।“
বিউটি পার্লার : এখানে ঘর থেকে বের হলেই বিউটি পার্লার দেখা যায় ।সাধারণতঃ chinese বা vietnamese মেয়েরা এ কাজ করে । এ দেশে মেয়েরা বেশি বেশি সৌন্দ্যর্য ধরে রাখা নিয়ে ব্যাস্ত । কালো,সাদা এবং আমাদের দেশিও মেয়েরাও সৌন্দ্যর্য চর্চা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে । তাদের রোজগারের একটা বিরাট অংশ খরচ করে পার্লারে সৌন্দ্যর্য রক্ষার্থে ।এ সব কাজ যে সব মেয়েরা ভালো জানে,তাদের কাজ পেতে অসুবিধা হয় না । সবই মেয়ে কাস্টমার, স্কিন কেয়ার,ফেসিয়াল ,ফুট কেয়ার, নেইল কাটিং, হেয়ার কাটিং করে সুন্দর হয়ে সেজে গুঁজে থাকা পছন্দ করে। আমাদের দেশে মহিলারা ও আজ কাল শহরে এ সব কাজ করে ভালো রোজগার করে ।
পিজা মেকার: পিজা পিজা,পিজা নোভা,পিজা হাট: এ সব কোম্পানি গুলি ইতালিয়ান পিজা ফুড তৈরী করে বাসায় বাসায় পিজা সাপ্লাই দেয়, তা ছাড়া দোকানে বিক্রি করে । সকাল ১০টা থেকে রাত্র ২টা পয্যন্ত এ সব দোকান ব্যাস্ত থাকে । ছেলে মেয়েরা এদের বেশির ভাগ কাস্টমার, লাইন দিয়ে ছেলে মেয়েরা দোকানে ভিড় জমায়। আমাদের বাংলাদেশে বড়ো,বড়ো শহর গুলিতে এ সব দোকান আছে । এ সব ফুড তৈরী অত্যন্ত সহজ এবং গ্রামে, বাজারে ,রাস্তা ঘটে চলবে । এ কাজ জানলে এ সব দেশে সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাওয়া যায় ।
ডোনাট শপ: চা ,কফি,ব্রেকফাস্ট ডোনাটস,ব্যাগেল্স আরো কত কি ফুড কুইক সার্ভ রেস্টুরেন্ট আছে । সেকেন্ড কাপ,টিম Horton,ম্যাকডোলান্ড এ গুলি ব্র্যাক ফাস্ট ফুড ২৪ ঘন্টা চলে এবং অত্যন্ত ভালো ব্যবসা । আমাদের বড়ো বড়ো শহর গুলিতে এ সব দোকান আছে । এ দেশে রাস্তার পার্শে এক/ দুই কিলোমিটার পর পর এ সব দোকান । গাড়ি থামিয়ে ওয়াশরুম সেরে খেয়ে দেয়ে পুনরায় নিজের কর্মস্থলে যায় আবার সহ কর্মী বা ঘরে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের জন্য নিয়ে যায়। এখানে উপভোগ করার ব্যাপার রয়েছে যার জন্য কেউ জার্নি করে ক্লান্ত বোধ করে না। আমাদের দেশে শহর ,গ্রাম সর্বত্রই ডোনাট শপ ভালো চলবে। এ সব কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো । অনেক বাংলদেশের লোকজন এ দেশে এসে কান্ট্রি স্টাইল, কফি শপ,এ জাতীয় Franchise কিনে বেশ সুবিধা করেছে ।
আমাদের ছেলেরা বিদেশে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ফিরতেছে । চেষ্টা করে অনেকে সর্বস্য হারিয়ে দেশে ফিরে । আমাদের দেশে ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার একটা টেন্ডেন্সি দেখা দিয়েছে । এটা খুবই ভালো লক্ষণ, এতে দেশের বেকার সমস্যা হ্রাস পাবে এবং রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক সাহায্য করবে। তবে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়া, বিপদ টেনে আনা, তা ছাড়া দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্য হারানো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে । “ রিস্ক নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দালালের খপ্পরে পড়ে অসময়ে জীবন দিলে নিজেও গেলেন এবং নিজের মা বাবা ভাই বোন বা স্ত্রী ছেলে মেয়ে কে রাস্তায় ফকির বানালেন, এতে আপনার পিছনের লোকদের কি হতে পারে ভেবে দেখছেন?” ভালো ভাবে জেনে শুনে ঝুঁকি নিলে পিছে বিপদ হয় না। দেশে ও সুযোগ রয়েছে, সে জন্য দরকার সঠিক সময়, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া । আমাদের দেশে কাউন্সেলিং এর অভাব। এ সব দেশে কাউন্সেলিং করে অনেকে ট্রেড পাল্টিয়ে নেয় এবং নুতন করে পড়া শুনা করে অন্য লাইনে কাজ নেয়।
আমি শুরুতেই মহা নায়ক উত্তম কুমার ও মহা নায়িকা সুচিত্রা সেনকে দিয়ে শুরু করেছিলাম ।উত্তম কুমার জীবনের শুরু( কর্ম জীবন ) ছিল কলিকাতা পোর্ট ক্লার্ক হিসাবে, আর মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন ১৯৪৭,দেশ ভাগ হওয়ার পর পূর্ব বাংলার বৃহত্তর পাবনা জেলা থেকে তার বাবা মায়ের সঙ্গে কলিকাতা চলে যান এবং ১৫ বৎসর বয়েসে বিয়ে করেন । এই জুটি সারা জীবনের সাধনার ফলে সিনেমা জগতে এতটা সুনাম অর্জন করেছেন যে ইতিহাস তাদের যুগের পর যুগ স্বরণ করবে ।