একটা গল্প প্রচলিত আছে, বিষয়টা এমন, যদি ঢাকা শহরে একটা খোলা জায়গা থাকে এবং এই জায়গাটি বিভিন্ন পেশার মানুষ দেখে তাহলে কি হবে, একজন ফুটবল খেলোয়াড় সে চাইবে এখানে আমি একটা stadium করবো ঢাকা শহরের অনেকে মানুষ খেলাধুলার সুযোগ পাবে, আবার যদি কুনো রাজনীতিবিদ দেখে সে ভাববে এখানে একটা বিশাল মার্কেট করবো, অনেক টাকা আয় হবে, মানুষের বিনোদনের জায়গা পাবে, আবার একজন কৃষক হয়ত ভাববে এখানে তো ভালো ভাবে কিছু শাক সবজি চাষ করা যায়, আর তাতে তো কিছু লোক ফ্রেশ শাক সবজি খেতে পারবে, আবার মনবিজ্ঞ্যানিদের বা ডাক্তারদের এর ভাবনা হবে একটা হাসপাতাল করার, তারা ভাববে তাহলে অনেকে আরও ভালো স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবে। । এখানে কারও চিন্তা কিন্তু অমূলক নয়। বরং এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু আলাদা আলাদা। আমাদের প্রত্যেকেরই চিন্তা চেতনাও আলাদা, আমাদের প্রত্যেকের আগ্রহের বিষয়ও আলাদা, কারও সাথে কারও তুলনা চলেনা। ঠিক তেমনি আমাদের অভিবাসীদের সমস্যা সেই একই ভাবে দেখলে যে বিষয়টি দাড়ায় আর তা হল সমস্যা এখানে একটা অবশ্যই আছে, আর তাতে কারও দ্বিমত নেই । আমরা কেও কিন্তু অস্বীকার করতে পারবোনা যে আমাদের অভিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ছাড়া এখানে আছেন। তবে এখানে যে একটা systematic racism বা উচ্চ লেবেল এর কারসাজি কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। আর যে বিষয়গুলো কাজ করে তা হল social determinants of health.
আর একটা প্রচলিত কথা আছে, বিষয়টা এমন যে ধরুন আপনার বাসার ছাদে গর্ত থাকার কারণে বৃষ্টির সময় পানি পরে, এটার সমাধান একেকজন একেকভাবে দিয়ে থাকেন, সাময়িক সমাধান গামলা ব্যবহার করা, আবার সেই সাথে সাথে গর্তটা খুঁজে বের করা। গর্তটা শুধু খুঁজে বের করলেই হবেনা এটার কিভাবে নির্মূল করা যায় তা বের করা। কেও গর্তটাকে ঢেকে দেওয়ার জন্য কিছু জিনিষ জোগাড় করে তাড়াতাড়ি সমাধান চান, কেও আবার এই সমস্যাতা কেন হল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কেও আবার সমস্যাটা আর যেন না হয় সেটার ব্যবস্থা নেন। আমি যদি এখানে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও অভিবাসীদের সমস্যার কথা বলি তাহলে একই ভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। এখানে কিন্তু কোনটারই গুরুত্ব কম না। সাময়িক সমাধানের জন্য যেমন আপনার যেমন গামলা দরকার (দিন চলে যায় এমন কাজ বা উপায় বের করা), সেই সাথে সমস্যা যেনও আর যেন না হয় সেজন্য চেষ্টা করা (long-term ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, অন্য বিষয়গুলো যেমন বাড়ি, একটা চাকরি, বা পরিবার সহ অন্যান্য… )। এখানে আসলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টা এমনিই। তাহলে আপনি কার কাছে যাবেন সাহায্যের জন্য, আমিতো বলবো যত জনের কাছে পারা যায়। এখানে এটা আরও সত্য এবং প্রয়োজনীয় কারণ কুনো কারণে আপনার অবস্থা যদি অনুকূলে না থাকে।
আমার বিষয়টা আবার মানুষ কেন তার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পকে সচেতন নহে, তার কারণ আগেও বলেছি, আর যে কারণগুলো হল তার মধ্যে আমাদের media এর প্রভাবতো আছেই। এই মিডিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, সিনেমা বা নাটকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেটা আসলে না বললেই হয়। আবার আমরা পরিবারের আলোচনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টা নিয়ে কখনওই আলোচনা করিনা কারণ আমাদের সময় নেই। আবার হয়তবা hesitate feel করি। আপনি কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে কখনওই সাফল্য কামনা করতে পারেন না। তাহলে আপনারা ভাবতে পারেন তাহলে কি আমাদের জীবন থেমে আছে? আমি কি সফল হয়নি? আপনি যদি একটু ভাবেন তাহলেই কিন্তু এর উত্তর পেয়ে যাবেন। আর যদি দেখেন আমাদের চারপাশের অবস্থা, আমরা দিনে দিনে কতটা দুরে সড়ে যাচ্ছি একে ওপরের থেকে, আমাদের সাপোর্ট দিন দিন কি হারে কমে যাচ্ছে, আপনার সমস্যার জন্য বা সমস্যা না হওয়ার জন্য কিন্তু সাহায্য চাওয়া কিন্তু খারাপ কিছু না, এই সাহায্য আপনি যে কারও কাছ থেকে গ্রহণ করতে পারেন, সে আপনার পরিবারের কেও হতে পারে আবার আপনার প্রিয় বন্ধুটিও হতে পারে, আবার কোন প্রোফেসনালও হতে পারে…।। শেয়ার ও সাহায্য গ্রহণ করুন আপনি ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভালো থাকতে সাহায্য করুন…
চলবে…..