এস এম জাকির হোসেন
আপনি কি গাড়ি চালাতে পারেন? গাড়ি চালানো শিখতে আপনার কতজন ওস্তাদ লেগেছিল? আমার লেগেছে তিনজন। ভবিষ্যতে আরো একজন ওস্তাদের শরনাপন্ন হতে হবে। ভাবছেন, তাহলে মনে হয় জাকির গাড়ি চালানো শিখতে পারে নি। পেরেছি। তিন দেশের তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও আছে। চতুর্থ ওস্তাদ কেন লাগবে সেটা পরে বলছি। তার আগে পুরোনো ওস্তাদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কাহিনী বলে নেই। প্রথম ওস্তাদ বাংলাদেশি। তখন আমি ঢাকার খিলগাঁয়ে থাকি। তালতলা ড্রাইভিং স্কুলের এক ওস্তাদ ধরলাম। ভোরবেলা তাঁর কাছে যেতে হতো। তিনি বলেছিলেন ঢাকার রাস্তায় নাকি সকাল আটটার পর গাড়ি চালানো শেখা নিষেধ। আর ন’টা থেকে আমারও অফিস। সুতরাং ওস্তাদের কাছে সকাল ছয়টায় যেতাম। প্রথম দিন ওস্তাদ একটা ময়লা কাপড় দিয়ে আমাকে বললেন, গাড়িটা মুছে নাও। আমি একটু অপ্রস্তুত হলাম। ওস্তাদ টের পেয়েছেন। বললেন, আরে মিয়া ইতস্তঃত করো কেন? তুমি যখন গাড়ি কিনবা, নিজের গাড়িতো নিজেকেই মুছতে হবে। ওস্তাদের কথায় যুক্তি আছে। কানাডায় এসেতো দেখি তাঁর কথা শতভাগ সত্য। যাহোক, গাড়িতে ড্রাইভিং সিটে বসলাম। ওস্তাদ সবকিছু দেখিয়ে দিলেন। আস্তে আস্তে করে গাড়ি চালাতে শুরু করলাম। স্টিয়ারিং হুইলের উপর আমার হাত, সাথে আমার ওস্তাদের হাত। একটা সময়ে ওস্তাদ বললেন, লাইসেন্সের জন্য আবেদন কর। আমি ভরসা পাই না। ওস্তাদ একদিনের জন্যও শতভাগ গাড়ির দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দেননি। ব্রেক ও স্টিয়ারিং হুইলের নিয়ন্ত্রণ সবসময় ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু ওস্তাদ আমাকে ভরসা দিলেন। পরীক্ষা দিলাম। পাশ করলাম। যথাসময়ে (ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং) লাইসেন্স পেয়ে গেলাম।
আমার দ্বিতীয় ওস্তাদ লাইবেরিয়ার। চাকুরি সুবাদে ২০১৩ সালে লাইবেরিয়া গেলাম। একটা গাড়ি কিনলাম। স্থানীয় ড্রাইভার আব্রাহামের সাথে কথা বলে তাঁকে পছন্দ হলো। নিয়োগের শর্ত দিলাম, আমাকে ড্রাইভিং শিখাতে হবে। দু’টো কারণে তাঁর কাছে ড্রাইভিং শিখতে চাইলাম। প্রথমতঃ বাংলাদেশের লাইসেন্স আছে ঠিকই কিন্তু একদিনের জন্যেও একা একা পূর্ণ ভরসা নিয়ে গাড়ি চালাইনি। কনফিডেন্স পাই না। দ্বিতীয়তঃ লাইবেরিয়ায় ড্রাইভ করতে হয় গাড়ির বাম পাশে বসে, বাংলাদেশের উল্টা। আব্রাহাম আমার শর্তে রাজি। আব্রাহামের ড্রাইভিং শেখানোর টেকনিক আমার পছন্দ হলো। প্রথম দিনেই স্টিয়ারিং হুইলের দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিল। যখন সে প্রয়োজন মনে করতো ঠিক তখনই সে স্টিয়ারিং হুইলে হাত রাখতো। অনেক সময় শুধু মুখে বলতো। যেহেতু এটা ওস্তাদের গাড়ি নয় (ওস্তাদদের/ ড্রাইভিং স্কুলের গাড়িতে ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টরের নিয়ন্ত্রণে একটি ব্রেক থাকে), সুতরাং ব্রেক, এসকেলেটর সবকিছুর দায়িত্ব আমার উপর। কনফিডেন্স বেড়ে গেল। কয়েকদিনের মধ্যেই ছুটির দিনে নিজে নিজে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া শুরু করলাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সও সহজে পেয়ে গেলাম।
কানাডায় এসে ওস্তাদ ধরতে হলো রাস্তা-ঘাটের নিয়ম কানুন শিখার জন্য। এখানে কঠিনভাবে মানা হয় সব নিয়ম কানুন। কানাডার ওন্টারিও-তে গ্র্যাজুয়েটেড (জি) লাইসেন্সিং সিস্টেমে তিন ধাপের টেস্ট নেয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে গাড়ি চালানোর দক্ষতা অর্জনের জন্য কমপক্ষে ২০ মাস সময় লাগে। তবে কেউ যদি অন্য দেশ থেকে জি সমপর্যায়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারেন সেক্ষেত্রে জি-১ পাশ করার পর সরাসরি জি পরীক্ষা দিতে পারেন, মাঝের ধাপ জি-২ দিতে হয় না। যেমনটা বললাম, এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রথম ধাপ জি-১। গাড়ি চালনায় প্রয়োজনীয় জ্ঞানের পরীক্ষা এটি: নিয়ম -কানুন, রাস্তা ঘাটে ব্যবহৃত চিহ্ন ইত্যাদি বিষয়ক পরীক্ষা। জি-১ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনলাইনে অনেক ফ্রি মডেল টেস্ট দেয়া যায়। খোঁজে খোঁজে সব অনলাইন পরীক্ষাগুলো দিলাম। বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে বহুল ব্যবহৃত (কানাডা প্রবাসী চাইনিজদের জন্য প্রণীত) জি-১ প্রস্তুতির জন্য প্রকাশিত বইটি পড়লাম। নাইমুল ভাই আমাকে বইটি ধার দিয়েছিলেন। নাইমুল ভাই একজন পরোপকারী মানুষ। তাঁর সাথে কানাডায় এসে পরিচয়। নানা রকম তথ্য দিয়ে তিনি আমাকে বহুবার সহযোগিতা করেছেন। সবচেয়ে উপকারী তথ্যটি ছিল গাড়ির ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক। বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স এজেন্টের সাথে কথা বলে গাড়ি কেনার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। কারণ, প্রতিমাসে ৫০০ ডলারের উপর ইন্স্যুরেন্স বাবদ খরচ। শেষ ভরসা নাইমুল ভাই। ফোন দিলাম তাঁকে। এক এজেন্টের ফোন নাম্বার দিয়ে কথা বলতে বললেন। কথা বললাম সেই এজেন্টের সাথে। প্রতিমাসে ২৩০ ডলারে ইন্স্যুরেন্স পেলাম। এই সুযোগে নাইমুল ভাইকে ধন্যবাদে দিতে চাই। নাইমুল ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ড্রাইভিং টেস্টের প্রসঙ্গে আবার আসি। জি-১ পরীক্ষায় পাশ করলাম। এক চান্সে পাশ। আমার সাথেই এক ভিনদেশিকে ফেল করতে দেখলাম। সে তখন আবার টাকা জমা দিতে গেল। জি-১ পরীক্ষা যতবার খুশি ততবার দেয়া যায়। তবে প্রতিবারই ফি দিতে হয়। আমার স্ত্রী শিউলীও একবারেই জি-১ পাশ করেছে। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গেলে জি-১ পাশ করা সহজ। কিন্তু জি-২ পাশ করা কারো কারো জন্য কঠিন হয়ে যায়। বাংলাদেশে পঁচিশ বছর গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে এখানে এসে চতুর্থবারে জি-২ পাশ করেছেন এমন ব্যক্তির সাথেও আমার পরিচয় হয়েছে। সেদিন একজনের সাথে ডাক্তার আরিফ ভাইয়ের চেম্বারে কথা হলো। তিনি ৩৬ টি ড্রাইভিং লেসন নিয়ে প্রথম বার ফেল করেছিলেন। এরকম বহু কাহিনী কানাডার বাংলা পাড়ায় প্রচলিত। কারো কারো সাথে সরাসরি আমার কথাও হয়েছে। তবে প্রথম বারে পাশ করেছেন এমন ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছি একজন। নিজের পরিবারে গাড়ি ছিল তাঁর। ওস্তাদের ছবক নিয়ে বাসায় পরিবারের গাড়ি নিয়ে বাসার আসে-পাশে চর্চা করার সুযোগ ছিল তাঁর। এক চান্সে জি-২ পাশ করা আরো অনেকে থাকতে পারেন। আমার সাথে পরিচয় হয়নি তাঁদের। [সুতরাং দয়া করে আমার এ লেখায় ব্যবহৃত পরিসংখ্যান অথেনটিক হিসেবে ধরে নিবেন না]। পরিচিতজনদের কাছ থেকে জি-২ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা শুনে সর্বসাকুল্যে আমার ৬ মাসের খুচরা ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে খুউব নগন্য মনে হলো। এবার ভালো একজন ওস্তাদ খোঁজ করা শুরু করলাম।
অনেকের সাথে কথা বলে ডাক্তার বিপ্লব ভাইয়ের ওস্তাদকে পছন্দ হলো। এই ওস্তাদ খুউব ভদ্র, নম্র মানুষ। কথা ও কাজের মধ্যে মিল আছে তাঁর। এক ঘন্টার প্রতি লেসন তিনি এক ঘন্টার বেশি করান, কখনো কম না। শুনেছি এখানে অনেক ওস্তাদ সময়ের ব্যাপারে কথা ঠিক রাখেন না। টাকা দিয়ে ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে, ওস্তাদের ধমক খেতে হয় অনেককে। ধমকাধমকি করা ওস্তাদ আমার পছন্দ না। তাই বিপ্লব ভাইয়ের ওস্তাদকে আমার তৃতীয় ওস্তাদ হিসেবে গ্রহণ করলাম। প্রথম দিনেই ওস্তাদ আমার খুউব প্রশংসা করলেন। বললেন, জাকির ভাই মনে হয় আপনার বেশি লেসন নিতে হবে না। ৬/৭ টি লেসন নেয়ার পর পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেলেন। পরীক্ষা দিতে গেলাম টরন্টো শহরের বাইরে। ওস্তাদ বললেন সেখান থেকে পাশ করা নাকি সহজ। গাড়ি চালানো শিখলাম টরন্টোর রাস্তায়। আর ওস্তাদ পরামর্শ দিলেন এক এচেনা জায়গা থেকে পরীক্ষা দিতে। রাস্তা-ঘাট কিছুই চিনি না। পরিচিত রাস্তায় গাড়ি চালানো সহজ হবে এটাইতো স্বাভাবিক। তিনি জানালেন সেখানেই বেশিরভাগ বাংলাদেশিরা পরীক্ষা দিতে যায়। চারজন সাগরেদকে নিয়ে ওস্তাদ রওনা দিলেন। প্রায় দুই ঘন্টা পর সেখানে পৌঁছালাম। সহযাত্রীরা একজন একজন পরীক্ষা দিয়ে মন খারাপ করে ফিরে আসেন। বলাবাহুল্য, কানাডায় সরাসরি রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় জি-২ পাশ করার জন্য। এখানে মাঠে পরীক্ষা নেয়া হয় না। আমার পালা এলো। বুক ধঁড় ফঁড় করছে। আমার পাশের সিটে পরীক্ষক বসা। ড্রাইভিং টেস্ট সেন্টার থেকে বের হয়ে একটি ইন্টারসেকশন পার হতে হয়। ইন্টারসেকশন পার হওয়ার আগে ভালো করে দেখলাম। আমি যেহেতু গলি থেকে বের হবো তাই মূল সড়কের গাড়ির ‘রাইট অফ ওয়ে’ আমার আগে। ৫/৬ টি গাড়িকে যেতে দিলাম। একটি গাড়ি অনেক দূরে ছিল যেটি আসার আগে আমি নিরাপদে ইন্টারসেকশন পার হতে পারব। আমি একসেলটরে (এখানে অনেকেই একসেলটরে চাপ দেয়াকে গ্যাসে চাপ দেয়া বলেন) চাপ দিতেই পরীক্ষক ব্রেক চাপলেন। বুঝে গেলাম এ যাত্রায় পাশ হবে না। পরীক্ষার বাকি সব ধাপ ঠিক ঠাক মতোই সারলাম। টেস্ট সেন্টারে ফিরে আসার পর পরীক্ষক বললেন তুমি ইন্টারসেকশনে আরেক জনের ‘রাইট অফ ওয়ে’ ভঙ্গ করেছ। আরো প্র্যাকটিস করো আসো। আমি দুঃখিত, তুমি কৃতকার্য হতে পার নি। খুউব মন খারাপ হলো। চারজনের মধ্যে তিনজন ফেল। একজনই পাশ করলেন যিনি ওস্তাদের কাছ থেকে লেসন নিয়ে বাসায় গিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে পেরেছেন, চর্চা করেছেন। আরেকজন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন গাড়ি চালিয়েছেন। এবার আমার সাথে যখন তিনি গিয়েছিলেন তখন ছিল তাঁর তৃতীয়বার পরীক্ষা পাশের চেষ্টা। আরেক আপা ছিলেন যাঁর জন্য ছিল সেটা দ্বিতীয়বার। সে যাই হোক, আমি আজো পরীক্ষকের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে নি।
প্রায় দুই মাস পর আবার ৪টি লেসন নিয়ে পরীক্ষা দিলাম। জি-২ পাশ করলাম। আমার তৃতীয় ওস্তাদকে ধন্যবাদ। তারপরেই কানাডায় গাড়ি কিনতে পারলাম। গাড়ি কিনে যেদিন প্রথম বের হলাম সেদিন-ই ‘হর্ণ’ খেলাম। আমার কাছে মনে হয় এখানে ‘হর্ণ’ খাওয়াটা লজ্জার বিষয়। হর্ণ খাওয়া মানে অন্য ড্রাইভার যদি হর্ণ দিয়ে সতর্ক করেন। আমি ডানদিকে টার্ন নেয়ার সময় ‘ব্লাইন্ড স্পট’ দেখিনি। টার্ন নেয়ার সময়ই আমার ডান পাশে আরেক গাড়ি এসে উপস্থিত। সেই ড্রাইভার আমাকে হর্ণ দিয়ে সতর্ক করলেন। এখানে কদাচিৎ হর্ণের শব্দ শুনা যায়। আমার গাড়ি কেনার ছয় মাস পর হঠাৎ মনে হলো আমার গাড়ির হর্ণের শব্দটা কেমন হয় সেটাইতো দেখা হলো না। একদিন শুধু পরীক্ষা করার জন্য গ্যারেজেরে ভিতর হর্ণ বাজিয়েছিলাম। রাস্তায় একদিনও হর্ণ বাজাতে হয়নি। রাস্তা-ঘাটে হর্ণের শব্দ শুনাই যায় না। আর ‘ব্লাইন্ড স্পট’ এর কথা এখানে এসেই প্রথম শুনলাম। আমার তৃতীয় ওস্তাদ গাড়ি থেকে নেমে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে গাড়ির মিরর দিয়ে তাঁকে দেখতে বলেছিলেন। গাড়ির মিরর দিয়ে তাঁকে দেখা যায়নি। শুধু ঘাড় বাঁকিয়েই তাঁকে দেখা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সেটাকেই ‘ব্লাইন্ড স্পট’ বলেছিলেন যা গাড়ির মিরর দিয়ে দেখা সম্ভব নয়। ঘাড় বাঁকিয়ে দেখতে হয়। কানাডায় গাড়ি ড্রাইভ করতে গেলে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ দেখা অত্যন্ত জরুরী। অনেক স্পীডে চালানো গাড়ি হঠাৎ করেই ‘ব্লাইন্ড স্পট’ এ এসে যায়। তাই অন্যদেশ থেকে গাড়ি চালানোর অভ্যাস নিয়ে আসলে এখানে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ দেখার অভ্যাসটাও করে নিতে হয়।
কানাডার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফাইনাল ধাপ এখনো আমার বাকী। ‘জি ক্লাস’ লাইসেন্স হলো শেষ ধাপ। সেজন্যই আমার চতুর্থ ওস্তাদ লাগবে। জি লাইসেন্স নিতে হলে হাইওয়েতে গাড়ি চালাতে হবে। চার/ পাঁচ লেনের হাইওয়েতে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালিয়ে জি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এর জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়। আমার জন্য নির্ধারিত সময় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস। শুনেছি জি লাইসেন্স হলে ইনস্যুরেন্সের মাসিক প্রিমিয়াম আরো কমে আসে। তাই কঠিন সেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাই শীঘ্রই।
টরন্টো, কানাডা
৬ মে, ২০১৭
ভাইয়া আমি কি আপনার ফেসবুক আইডি পেতে পারি, কিছু বিষয়ে জানার ছিল,. ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যাপারে
রাতুল ভাই, আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আপনি চাইলে এখানেও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ক প্রশ্নটি করতে পারেন। আর আমাকে ফেইসবুকে S M Zakir Hossain নামে খুঁজলে পাবেন।