নরওয়ে থেকে:-
আমি কাব্য ভালোবাসি,
ভালোবাসি জীবনানন্দের কবিতা, সমরেশের গল্পগ্রন্থ, কিংবা জাফর ইকবালের পরবাসের দিনগুলো নিয়ে লেখা কোনো ছুটো গল্পের বই।
আমি বাংলাকে ভালোবেসে বড়ো হয়ে উঠা বাংলার সন্তান,
বাংলার মাটি, প্রজাপতি, ঘাসফুল আর গ্রাম্য সতেজ বাতাস আমার খুবই প্রিয়।
আমার হৃদয়ের প্রতিটা স্পন্ধনে বেঁজে উঠে হাসন রাজা, আব্দুল করিম আর রাধা রমনের গান।
লন্ডনে যখন প্রথম আসি, বাঙালী দেখলেই বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতো।
লাল সবুজের পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ছবি আর মুক্তিযুদ্ধারা আমার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার সর্ব শেষ আশ্রয়স্থল ।
দেশ থেকে হাজার সহস্র মাইল দূরে থাকি..হাজারো দায়িত্বের বুঝা আমার ক্ষীণ এই কাঁধ জুড়ে।
জানা নাই কবেইবা ফেরা হবে দেশে আবার !!
তারপরও অবসরে কল্পনায় ঘূরে বেড়াই বাংলার মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে।
বনুয়ার বিল, সুরমার জল, এম সি কলেজ, রাঁধুনির চা কি ভুলে থাকা যায় ??
মাইকেল মধুসূধন কি ভুলে থাকতে পেরেছিলেন বাংলা ভাষার টান ??
পাসপোর্টের রং যাই হোক না কেন..
আমি বাঙালি, বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি.. কতোয়ালপুর আমার গ্রাম, জাওয়াদ আমার ভাই”সে কি অস্বীকার করে থাকতে পারবো কোনোদিন ?
বাংলা মায়ের সন্তানেরা অস্বীকার করেনি কভু.. আর তাইতো সব ছেড়ে ছুড়ে জাফর ইকবালের মতো লোকেরা দেশে ফিরে আসে,, জাতিকে সুশিক্ষিত করবে বলে।
জানি আমিও একদিন ফিরে আসবো রূপসী বাংলায়..
প্রিয়তমার হাতধরে বসে থাকা কোনো এক সন্ধ্যায় চারপাশ ভরে উঠবে হাসনা হেনার গন্ধে !
প্রার্থনা করি, আমার মা যেন সেদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকেন, থাকে যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আর রূপবতী বনুয়ার বিল।
বাংলার প্রতি যে ঋণ আছে.. তা সামান্য হলেও যেনো শোধ করে মরতে পারি,
মরি যেন ঘোর লাগা বিরহী কোনো ক্লান্ত দুপুরে…বাংলারই কোনো এক প্রাঙ্গনে —